Pages

জানা অজানা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
জানা অজানা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

* একটা কম্পিউটারের অন্তত দশ লক্ষাধিক শক্তিশালী হ্‌ওয়া লাগবে মানব মস্তিস্কের সমান কাজ করতে হলে ।

* একটা নয়া মডেলের শক্তিশালী কম্পিউটার একটা .১ গ্রাম ওজনের গোল্ডফিসের মস্তিস্কের সমানও কাজ করতে সক্ষম নয় ।


* মানব মস্তিস্ক শরীরের আয়তনের মাত্র ২% হলেও এর শক্তি চাহিদা অনেক । মোট শক্তির ২০% ।

* প্রতিদিন মহিলারা গড়ে ৭০০০ বাক্য বলে থাকে, আর পুরুষরা বলে থাকে ২০০০ বাক্য ।

* পৃথিবী যদিও নিজ অক্ষে ঘন্টায় ১০০০ মাইল বেগে ঘোরে, কিন্তু অবিশ্বাস্য গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে চলে, ঘন্টায় প্রায় ৬৭০০০ মাইল বেগে ।

* পৃথিবীতে বছরে প্রায় ১০০০০০০ এরও বেশী ভুমিকম্প হয়ে থাকে ।

* প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১০০ বজ্রপাত পৃথিবীতে হয়ে থাকে ।

* ১২৫০ সালে রজার বেকন আতশী কাচ আবিস্কার করেন ।

* ডিএনএ প্রথম আবিস্কৃত হয় ১৮৬৯ এ সুইস ফ্রেডরিক মিস্কলার* এর মাধ্যমে ।

* এযাবৎকালের সবচেয়ে উচুতম গাছটি হল একটি অস্ট্রেলিয়ান ইউক্যালিপটাস গাছ, যার উচ্চতা ৪৩৫ ফুটের মতো ।

* ইলেকট্রিক ঈল মাছ প্রায় ৬৫০ ভোল্ট শক দিতে পারে ।

* ১৯৬২ সালে প্রথম টেলিফোন এবং টিভি সিগন্যাল রিলেতে সক্ষম যোগাযোগ উপগ্রহ টেলস্টার উৎক্ষেপন করা হয় ।

*সারা শরীর ঘুরে আসতে একটি রক্ত কোষের ৬০ সেকেন্ডের মতো সময় লাগে ।

* একজন পুরুষ দেহে এক সেকেন্ডে প্রায় ১০০০ কোষ শুক্র তৈরী হয়, প্রায় ৮৬০০০০০০ এক দিনে ।

* যদি আলোর গতিতেও যাত্রা শুরু করা হয়, তাহলেও নিকটস্থ ছায়াপথ এন্ড্রোমিডাতে যেতে বিশ লক্ষ বছর লাগবে ।

* সবচেয়ে বড় মরুভূমি সাহারার আয়তন প্রায় ৩,৫০০,০০০ বর্গ মাইল ।

* মাধ্যাকর্ষন শক্তি থেকে বের হতে একটি রকেটকে সেকেন্ডে ৭ মাইল গতিতে চলতে হয় ।

* আকার অনুযায়ী গুবরে পোকা (বিটল) হল পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী পোকা, একটা রাইনোসোরাস গুবরে তার নিজের ‌ওজনের চেয়ে প্রায় ৮৫০ গুন বেশী বইতে পারে ।

* লাল ও সবুজ গ্যাসের ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি প্রথম শুরু হয় লন্ডনে ১৮৬৮ সালে । কিন্তু দুঃখজনকভাবে সেগুলো বিস্ফোরিত হয় এবং একজন পুলিশ নিহত হয়, প্রথম সফল সিগন্যাল বাতি স্থাপন হয় ১৯১৪ সালে ক্লিভল্যান্ড, ওহিওতে ।

* মানব হৃৎপিন্ডদিনে প্রায় ১০০,০০০ বার স্পন্দিত হয় ।

* মাথা ছাড়াও তেলাপোকা ৯ দিন বেচে থাকতে পারে ।

* অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দিন অপেক্ষা রাতেই শিশু জন্মহার বেশী ।

* শিকারের কারনে বিলুপ্ত হবার প্রায় ১০০ বছর পর ১৫০৭ সালে ডোডো আবিস্কার হয় ।

* ৪,৮০০ বছর আগে মিশরীয়রা ৩৬৫ দিনের বছর সম্পর্কে জানতো ।


আপনি পৃথিবীর কততম মানুষ জানেনকি?



আমি পৃথিবীর 5,063,710,982 তম মানুষ। আপনি?


সাতশ’তম অথবা আটশ’তম ব্যক্তির হিসেবে হয়তো অনেকেই রাখেন। বিশেষ করে বিশ্বের জনসংখ্যা ব্যুরোগুলোতে এই সৌভাগ্যবান ব্যক্তির নাম অনেকটা যত্নসহকারে লেখা থাকে। কিন্তু আপনি কততম সে খবর রাখে কে?

তব পরিসংখ্যানবিদ আর গবেষকরাতো বসে নেই। বিশ্বের সব মানুষই যেন জনসংখ্যায় নিজের অবস্থান জানতে পারেন সে জন্য তারা আবিষ্কার করেছেন এক বিস্ময়কর অনলাইন ক্যালকুলেটর!

নির্দেশনা মতো আপনার জন্মতারিখ অর্থাৎ তারিখ, মাস, বছরের ঘর পূরণ করে ‘গো’ অর্থাৎ সার্চে ক্লিক করলেই পেয়ে যাবেন আপনার অবস্থান!

লিঃক এ জান

ইতিহাসে ঘটে যাওয়া কিছু বিস্ময়কর সমাপতন !


১. আব্রাহাম লিঙ্কন এবং জন এফ কেনেডি।
--যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন এবং জন এফ কেনেডি। উভয়েই কংগ্রেস কর্তৃক প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। আব্রাহাম লিঙ্কন নির্বাচিত হয়েছিলেন ১৮৪৬ সালে এবং জন এফ কেনেডি ১৯৪৬ সালে ।
---উভয় প্রেসিডেন্ট সাধারণ জনগনের অধিকার বাস্তবায়নের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন এবং দুজনেই আততায়ীর হাতে নিহত হন এবং উভয়েরই মৃত্যুর দিনটি ছিল শুক্রবার ।
---হোয়াইট হাউসে থাকা কালীন সময়ে উভয় প্রেসিডেন্টের স্ত্রী যার যার একটি করে সন্তান হারান ।
----উভয় প্রেসিডেন্ট এর ঘাতকদের জন্মস্থান ছিল যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিনাঞ্চল এলাকায়। লিঙ্কনের ঘাতক জন (John Wilkes Booth) এবং কেনেডির ঘাতক লি (Lee Harvey Oswald) দুজনের নামের অক্ষরের সমষ্টি ১৫।

---লিঙ্কন এবং কেনেডির মৃত্যুর পর যে দুজন ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট পদে স্থলাভিষিক্ত হন তাদের উভয়ের পারিবারিক নাম ছিল জনসন। অন্দ্রেউ জনসন যিনি লিঙ্কনের স্থলে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তার জন্মসাল ছিল ১৮০৮ এবং কেনেডির স্থলে লিন্ডন বি জনসন, তার জন্মসাল ছিল ১৯০৮।


২.টিটান এবং টাইটানিক
যুক্তরাষ্ট্রের উপন্যাসিক মরগ্যান রবার্টসন এর ১৮৯৮ সালে লেখা ভ্যানিটি উপন্যাসটি পড়ে সেদিন কেউ কল্পনা করতে পারেনি তার গল্পের রাজকীয় "টিটান" ছিল ১৪ বছর পর ডুবে যাওয়া বিলাসবহুল টাইটানিক জাহাজের প্রতিচ্ছবি। টাইটানিক জাহাজের চাকচিক্য, অভ্যন্তরের সুদৃশ্য জিনিস ইত্যাদি হুবহু মিল ছিল তার গল্পের "টিটান" জাহাজটিতে। গল্পের টিটান এবং বাস্তবের টাইটানিক উভয় জাহাজকে এপ্রিল মাসের মধ্যরাতে উত্তর আটলান্টিকের গভীর সমুদ্রে দুর্যোগের সমুক্ষিন হতে হয়। গল্পকার টিটান জাহাজটিতে যাত্রী ও ক্রেউ সংখ্যা, লাইফ বোট, মাল বহন করার ক্ষমতা এবং জাহাজের আকার এমনভাবে চিত্রায়িত করেছিলেন যেটা বাস্তবে টাইটানিক জাহাজে উপস্থিত ছিল। রবার্টসনের টিটান জাহাজটিতে যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ছিল ৩০০০ হাজার এবং ২৪টি লাইফ বোট পক্ষান্তরে বাস্তবের টাইটানিক জাহাজের যাত্রী ধারণক্ষমতা ছিল ২২০৭ জন এবং ২০টি জীবনরক্ষাকারী বোট। গল্পের জাহাজটির ওজন ছিল ৭৫ হাজার টন আর টাইটানিক এর ওজন ছিল ৬৬ হাজার টন। কল্পনার জাহাজটি দৈর্ঘ্যে ছিল ২৪৩ মিটার যা কিনা টাইটানিকের দৈর্ঘ্যের কাছাকাছি ২৬৮ মিটার। টিটান এবং টাইটানিকের গতিবেগ ছিল যথাক্রমে ২৫ নট এবং ২৩ নট। টিটান এবং টাইটানিক দুটি জাহাজই ভাসমান বিশাল বরফখন্ডের সাথে ধাক্কা লেগে সমূদ্রের অতল গহ্বরে হারিয়ে যাওয়া, এ যেন সবই একই সূত্রে গাঁথা।


৩. টুইন টাওয়ার নিয়ে গণিতিক সমাপতন
---নিউ ইয়র্ক শহরের অক্ষর সমষ্টি ১১ এবং আফগানিস্তানের অক্ষর সমষ্টি ১১ ।
---ইউসুফ রামসী {Ramzi Yousef (১৯৯৩ সালে টুইন টাওয়ার হামলার পরিকল্পনাকারী)} এবং বুশ (George W Bush) এর নামের অক্ষর সমষ্টি ১১।
---টুইন টাওয়ারে প্রথম যে বিমানটি আঘাত হানে সেই ফ্লাইট এর নম্বর ছিল ১১ ,
এবং ফ্লাইট নং ১১ তে মোট যাত্রী ছিল ৯২ জন , ৯ +২ = ১১ ।
---দ্বিতীয় টাওয়ারে আঘাতকারী ফ্লাইট নং ৭৭ এর যাত্রীসংখ্যা ছিল ৬৫জন , ৬+৫ = ১১।
---বিয়োগান্তর নাটকটি ঘটে ১১ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ ৯ / ১১ , ৯ +১+১ = ১১।
---১১ সেপ্টেম্বর ক্যালেন্ডারের ২৫৪ তম দিন, ২ + ৫+ ৪ = ১১।



৪. দুই ভাইয়ের সর্বনাশা নিয়তি ।
---১৯৭৫ সালে বার্মুদায় একটি সড়ক দুর্ঘটনায় এক মটর সাইকেল চালক টেক্সির নিচে পৃষ্ঠ হয়ে মারা যায়। দুর্ঘটনাটি ঘটার ঠিক এক বছর পর নিহত ব্যক্তির ভাই একই মটর সাইকেলে যে রাস্তায় তার ভাই নিহত হয়েছিল সেই রাস্তা দিয়ে যাবার কালে তার ভাইয়ের হত্যাকারী সেই টেক্সী চালকের হাতে অনুরূপভাবে নিজেও প্রাণ হারায়।


৫. ইতিহাসের সবচেয়ে ধীর গতির বুলেট ।
ঘটনাটি ছিল ১৮৯৩ সালে। হেনরি জাইগল্যান্ড নামের আমেরিকার টেক্সাসের কাঠুরি তার বাগদত্তাকে প্রত্যাক্ষান করলে মেয়েটি অভিমানে আত্মহত্যা করে। বোনের অকাল মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে মেয়েটির ভাই হেনরির বাসস্থানে উপস্থিত হয় এবং বাড়ির সংলগ্ন বাগানে হেনরিকে দেখামাত্রই তাকে লক্ষ করে গুলি চালায়। আক্রমনকারী পরক্ষণে মানুষ খুন করেছে ভেবে তার ভিতরে অনুতাপ, অনুশোচনা সৃষ্টি হলে সে নিজের দেহে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করে।
কিন্তু সেদিন সেই দুর্ঘটনার হাত থেকে হেনরি সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যায়। গুলি তার চোয়াল ভেদ করে পাশ্ববর্তী একটি গাছে বিদ্ধ হয়। যাহোক ঘটনার ২০ বছর পর অর্থাৎ ১৯১৩ সালে হেনরি নতুন করে বাগানের কা শুরু করার উদ্দেশ্যে সেই গুলিবিদ্ধ গাছটি ডিনামাইট দিয়ে উৎপাটন করার সির্ধান্ত নেয়। যথারীতি সে ডিনামাইট এর সাহায্যে প্রচন্ড বিস্ফোরণ ঘটায়, কিন্তু বিধিবাম বিস্ফোরণটি গাছে বিদ্ধ থাকা গুলির চালকযন্ত্ৰ হিসাবে কাজ করে এবং গুলিটি সচল হয়ে সরাসরি হেনরির মাথায় বিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থলে প্রাণ হারায় হেনরি।


৬.মেজর সামারফোর্ড এবং তার অনুসরনকারী ঘাতক বজ্রবিদ্যুত।
এক ব্রিটিশ মেজর নাম সামারফোর্ড। ১৯১৮ সালে ফ্লান্দেরস নামক একটি যুদ্ধের ময়দানে সামারফোর্ড বজ্রপাতে আক্রান্ত হলে তার দেহের নিম্নাংশ থেকে কোমর পর্যন্ত অবশ হয়ে যায়। এরপর পঙ্গুত্বের কারণে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হলে তিনি স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য কানাডার ভান্কুবের চলে যান। ১৯২৪ সালের কোনো একদিনে সামারফোর্ড একটি গাছে চড়ে বরশি দিয়ে মাছ ধরার সময় আচমকা গাছটির উপর বজ্রপাত হয়। এবারও বজ্রাঘাতে বেচারা সামারফোর্ডএর শরীরের ডানপার্শ্ব অবশ হয়ে যায়। অবশেষে দুই বছর ভোগার পর সামারফোর্ড ধীরে ধীরে আরোগ্য লাভ করেন এবং পার্কে পায়চারী করার মত শারীরিক শক্তি ফিরে পান। এরপর ১৯৩০ সালের গ্রীস্মকালে পার্কে পায়চারী করার সময় আবারও তার উপর বজ্র আঘাত হানে এবং এবার তিনি স্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়ে যান। দুই বছর পঙ্গুত্ব নিয়ে বেঁচে থাকার পর অবশেষে সামারফোর্ড মারা যান। কিন্তু এখানেই সব শেষ নয়, সামারফোর্ড এর মৃত্যুর ৪ বছর পর এক ঝড়ের রাতে একটি সমাধিক্ষেত্রের সমাধিপ্রস্তর বজ্রপাতের আঘাতে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। কে শুয়ে ছিলেন ছিলেন সেই সমাধিত? সে অন্য কেউ নয়, মেজর নাম সামারফোর্ড।



৭ .হেথ লেডগার এবং ব্রানডন লী।
--- লেড্গার ও লী দুজনই ছিলেন সুদর্শন যুবক এবং চিত্র জগতে সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব । দুজনেই ২৮ বছর বয়সে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন ।
---লেড্গারের বাল্যকালে পিতামাতার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে যা লী বেলায়ও হয়েছিল।
--- লেড্গারের মা ছিলেন পেশায় অধ্যাপক, লী এর মা ও ছিলেন তাই।
--- লেড্গারের পিতা ছিলেন দক্ষ গাড়ীচালক এবং ক্রীড়াবিদ এবং সিনেমার প্রতি তিনি ছিলেন আবেগতাড়িত। ব্রান্দনের পিতা ব্রুসলী ছিলেন চলচ্চিত্রের অভিনেতা এবং ক্রীড়াবিদ এবং গাড়ীর প্রতি ছিল তার প্রবল আকর্ষণ।
---লেড্গার যুবক বয়সেই বন্দুক ও বন্দুক চালনার প্রতি আকৃষ্ট হন এবং অতিরিক্ত মাত্রায় মাদক সেবন করার কারণে মৃত্যুবরণ করেন। লীও যুবক বয়সে মাদকের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং মাথায় গুলির আঘাতে মৃত্যুবরণ করেন।
---উভয় অভিনেতা নিজেকে অসাধারণভাবে তুলে ধরার জন্য চোখে রং মাখিয়ে কাজল কালো চোখ বানাতেন আর মুখমন্ডলে নিতেন সাদা মেকআপ এবং উভয়েরই মুখে লেগে থাকত মৃদু হাসি। লীর ছিল অমায়িক হাসি আর লেড্গারের হাসি ছিল রহস্যপূর্ণ


৮.মি.জোসেফ এবংদুদফা অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া শিশু।
১৯৩০ সালের ঘটনা। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়ট শহরের অধিবাসী জোসেফ ফিগলোক এক খামখেয়ালী ও অমনোযোগী মায়ের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি হয়ে উঠেছিলেন। একদিন একটি বাড়ীর দোতলার জানলা দিয়ে একটি শিশু নিচে পরে যায়। ঠিক সেই সময় মি. জোসেফ ঐ বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছিলেন এবং বাচ্চাটি তার শরীরের উপর পরে। তবে সৌভাগ্যক্রমে সে যাত্রায় উভয়ই অক্ষত অবস্থায় রক্ষা পায়। দুর্ঘটনার ১ বছর পর ঐ শিশুটি একই ভাবে একই জানলা দিয়ে দ্বিতীয়বার নিচে পরে যায়। অবাক কান্ড এই যে , সেদিনও মি. জোসেফে সেই বাড়ির সামনে দিয়ে হেটে যাচ্ছিলেন এবং শিশুটি আবারও তার গায়ের উপর পরে এবং উভয়ই অক্ষত অবস্থায় রক্ষা পায়।



৯. নেপোলিয়ন এবং হিটলার ।
---নেপোলিয়ানের সিংহাসনে আহরণের সময়কাল ছিল ১৮০৪ সাল, অন্যদিকে হিটলারের চ্যান্সলর পদে আসীন হওয়ার সময়কাল ছিল ১৯৩৩ সাল। সময়কালের পার্থক্যঃ ১২৯ বছর ।
---নেপোলিয়ন ভিয়েনায় পদার্পণ করেন ১৮০৯ সালে পক্ষান্তরে হিটলার ভিয়েনায় পা রাখেন ১৯৩৮ সালে। সময়কালের পার্থক্যঃ ১২৯ বছর।
-- নেপোলিয়ন রাশিয়ায় প্রবেশ করেন ১৮১২ সালে অপরদিকে হিটলার ১৯৪১ সালে। সময়কালের পার্থক্যঃ ১২৯ বছর।
যে অভিন্ন কারণে বিশিষ্ট দুই ব্যক্তির জীবনে একের পর এক ব্যর্থতা এবং ব্যর্থতা থেকে শেষ পর্যন্ত পতন ডেকে এনেছিলঃ বিপুল বিস্তার এবং শীতকাল।


১০. সমাপতনঃ রাজা এবং প্রজা ।
ইতালির মনজার রাজা ছিলেন উমবের্তো I একদিন রাজা তার সহকারী এবং দেহরক্ষীকে নিয়ে এক রেস্তোরায় উপস্থিত হন। রেস্তোরার মালিক খাবারের ফরমাস নেয়ার জন্য টেবিলের সামনে এসে দাড়ালে রাজা লক্ষ করে দেখেন তার এবং রেস্তোরার মালিকের চেহারা , তাদের দুজনের দেহের গঠন , মুখমন্ডল হুবহু একরকম যেমনটি যমজদের বেলায় হয়ে থাকে। উৎসুক রাজা রেস্তোরার মালিকের পরিচয় জানতে আগ্রহী হলে উভয়ের মধ্যে আলাপ আলোচনা , কথোপকথন শুরু হয়ে যায় এবং কথা শেষে যে সকল আশ্চর্যজনক সমাপতন বেরিয়ে আসেঃ
---- উভয়ের জন্ম একই দিনে এবং একই সালে হয়েছিল। ( ১৪ মার্চ ১৮৪৪ সাল )
----উভয়ের জন্মস্থান ছিল একই গ্রামে।
----উভয়ের সহধর্মিনীর নাম ছিল মার্গারিটা।
--- যে দিনটিতে রাজার অভিষেক অর্থাৎ সিংহাসনে আহরণ করেছিলেন সেই দিনে মালিক রেস্তোরাটি উদ্বোধন করেছিলেন।
২৯ শে জুলাই ১৯০০ সালে রাজা একটি জনাকীর্ণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকালে আততায়ীর গুলিতে রেস্তোরার মালিকের মৃত্যুর সংবাদটি জানতে পারেন। রেস্তোরার মালিকের মৃত্যুসংবাদটি রাজাকে ব্যথিত করে । যখনই রাজা তার সমবেদনা প্রকাশ করে যাবেন সেই মহুর্তে এক বিদ্রোহী রাজাকে লক্ষ করে গুলি ছুড়ে। আর তাতেই ঘটনাস্থলে জীবনের প্রদীপ নিভে যায় রাজার।


ইতিহাসের পাতায় লেখা কিছু অস্বাভাবিক মৃত্যু




এস্কিলোঃ গ্রীক নাট্যকার
ওরাকলের করা ভবিষ্যদ্বাণীতে এস্কিলো যখন জানতে পারলেন ইমারতের নিচে চাপা পড়ে তার মৃত্যু হবে, তখন থেকেই দুর্ঘটনা এড়াতে তিনি শহরের বাহিরে বসবাস শুরু করলেন। কিন্তু বিধিবাম একদিন এক বাজপাখি শিকারকৃত একটি কচ্ছপ শুন্য থেকে ফেলে দিলে সেটি এস্কিলোর মাথার উপর পড়ে এবং সেই আঘাতেই তার জীবনাবসান ঘটে।


ফ্রেডেরিখ বারবারোসাঃ জার্মান সম্রাট( ১১২২-১১৯০)
পবিত্রভুমি জেরুজালেম জয় করার উদ্দেশ্যে সৈন্যসামান্ত নিয়ে ঘোড়ার পিঠে সওয়ার হয়ে দীর্ঘসময় মরুভূমিতে পথ চলার পর প্রচন্ড তৃষ্ণার্ত অবস্থায় এক সময় সালেফ নদীর তীরে উপস্থিত হন সম্রাট ফ্রেডেরিখ। নদীর টলমলে পানি দেখে তেষ্টা নিবারণ এবং স্নান করার জন্য ঘোড়া থেকে নেমে মহুর্ত্তে ঝাপিয়ে পড়েন স্রোতস্বীনি নদীর বুকে এবং ভুলে যান তার পরিধানের লৌহবর্মের কথা। ফলশ্রুতিতে তার সলিলসমাধির বিনিময়ে গুনতে হয় নিজের ভুলের মাশুল।


দ্বাদশ জন পোপঃ
৯৬৪ সালে পোপ দ্বাদশ জনকে এক রমনীর শয়ন কক্ষে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেলে তার রহস্যাবৃত মৃত্যুকে ঘীরে ধুম্রজ্বালের সৃষ্টি হয়। কোনো মহল সেই রমনীর স্বামীকেই পোপের ঘাতক বলে দাবি করে আবার কেউ কেউ মনে করেন রমনীর সাথে সহবাস করার সময় পোপ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান


ক্রীস্টেইন চুবুকঃ সাংবাদিক ও সংবাদপাঠিকা।
১৯৭৪ সালের ১৫ জুলাই ক্রীস্টেইন চুবুক স্থানীয় টেলিভিশনের একটি লাইভ অনুষ্ঠান পরিচালনা করার সময় আত্মহত্যা করেন। অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার ৮ মিনিট পর আচমকা একটি রিভলবার বের করে তিনি নিজের মাথায় গুলি চালান।


এ্যাটিলাঃ হান্সদের নেতা
বিয়ের বাসর রাতে অত্যাধিক মদ পান করায় তার নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয় এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে এক সময় তার শ্বাসনালী বন্ধ হয়ে যায় এবং পরদিন সকালে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।



জিম ফিক্সঃ লেখক
১৯৭৭ সালে তার লেখা The Complete Book of Running" বইটি সবচেয়ে বেশি কপি বিক্রি হওয়ায় সে বছরের সর্বোত্তম বিক্রেতা হিসেবে তিনি গৌরব অর্জন করেন। পরিমিত খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যায়াম অনুশীলন মধ্যেই যে দীর্ঘজীবন লাভ যায় সেটাই তিনি তার বইতে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছেন । তিনি তার লেখায় বলতে চেয়েছেন, খাদ্যসংযম অভ্যাস করা এবং ব্যায়াম অনুশীলন দীর্ঘজীবন লাভ করার চাবিকাঠি। একদিন এই লেখক যোগিং করার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঘটনাস্থলে মৃতুবরণ করেন।


গ্রীগোরী রাসপুতিনঃ রাশিয়ান সন্যাসী ।
১৯১৬ সালে রাশিয়ার এই প্রভাবশালী সন্যাসীকে বরফের নিচে পানিতে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় । যদিও পানিতে ডুবে তার মৃত্যুকে একটি নিছক দুর্ঘটনা বলে অপপ্রচার করা হয় কিন্তু তার মৃত্যু যে একটি পরিকল্পিত হত্যা সেটি পরবর্তিতে সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হয়। রাসপুতিন এর দেহ নদীতে জমাট বরফ কেটে গর্ত করে পানিতে নামানোর আগে তার শরীরে বিষ প্রয়োগ করা হয়, এরপর তাকে পুরুষত্বহীন অর্থাৎ খাসি করানো হয় । তাছাড়া তার মাথায়, ফুসফুস ও কলিজাতেও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।


স্যার ফ্রান্সিস ব্যাকনঃ ব্রিটিশ দার্শনিক এবং রাজনীতিবিদ ।
শীতে মৃতদেহ পচনে দেরী হয় এই সত্যটি পরীক্ষা করা জন্য একদিন প্রচন্ড তুষারপাত উপেক্ষা করে তিনি ঘরের বাহির হন এবং একটি মুরগি বধ করে সেটি মাটিতে পুতে রাখেন।এরপর তিনি ঘরে ফিরে আসেন ঠিকই কিন্তু নিজের অজান্তে শরীরে বহন করে নিয়ে আসেন মরণঘাতী রোগ নিউমেনিয়া। এর অল্প কিছুদিন পর তিনি শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন।



ফ্রাঁসোয়া ভাটেলঃ ফ্রান্স রাজা চতুর্দশ লুই এর বাবুর্চি ।
ঘটনাটি ঘটে ১৬৭১ সালে । যদিও প্রসিদ্ধ বাবুর্চি ফ্রাঁসোয়া ভাটেল সময়মত তার রন্ধনশালায় সামুদ্রিক মাছ সরবরাহ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন কিন্তু সরবরাহ আসতে অনেক দেরী হওয়ায় এবং নৈশভোজ বিলম্বে হবার কথা ভেবে অভিমানে ও লজ্জ্বায় ফ্রাঁসোয়া ভাটেল আত্মহত্যা করেন।


আলান পিন্কারটনঃ যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা ও গুপ্তচর।
যুক্তরাষ্ট্রের নামকরা গোয়েন্দা আলান পিন্কারটন ফুটপাতে দিয়ে হাটার সময় পিছলে পরে গেলে তার জিভে কামড় লাগে এবং পরবর্তিতে তার জিহ্বার সেই ক্ষতস্থানে গ্যানগ্রীন হয়ে যায়। অবশেষে গ্যানগ্রীন রোগের কারণেই ১৮৮৪ সালে আলান মৃতুবরণ করেন।


জেরোমে লারভিংরোডেলঃ যুক্তরাষ্ট্রের বাস্তুসংস্থান আন্দোলনের উদ্যোগতা।
জেরোমে লারভিং রোডেল একটি সাক্ষাৎকারে ১০০ বছর বাঁচার প্রত্যয় ব্যক্ত করার কিছুদিন পরই ৭৩ বছর বয়সে মারা যান।



U.f.o: রহস্যের আবডালে ঘেরা যে বস্তু।।





লক্ষ লক্ষ বছর ধরে যে প্রশ্ন মানব মনে উকি দিয়ে গেছে বার বার তা হল-

এই মহা বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে আমরা কি একা?

উত্তর মেলা ভারি কঠিন। শুধুমাত্র আমাদের গ্যালাক্সি মিল্কিওয়ে তেই নক্ষত্র এর সংখ্যা প্রায় ৪০০ বিলিয়ন। আর গ্যালাক্সি তো মহাবিশ্বে বিলিয়ন এর পর বিলিয়ন। বিলিয়ন বিলিয়ন গ্যালাক্সি এর বিলিয়ন বিলিয়ন নক্ষত্রের যদি প্রতি বিলিয়ন এ একটিতেও গ্রহ থাকে তবুও গ্রহের সংখ্যা হিসাবের বাইরে। ১৯৬১ সালে ড্রেক তার সমীকরণে দেখিয়েছেন যে কমপক্ষে ১০০০০ গ্রহে প্রানের অস্তিত্ব থাকা সম্ভব!!


অন্য গ্রহে প্রানের অস্তিত্ব আছে কি নেই এটার উত্তর তো একদিনেই জানা যায়না। মানুষ হাজার হাজার বছর চেষ্টা করেছে কিন্তু এখনো কোন সিদ্ধান্তে পৌছাতে পারেনি। হয়তো আরও হাজার বছর লাগবে। অথবা এই রহস্য কোনদিনও ভেদ হবেনা। এটা নিয়ে জল্পনা কল্পনার তাই আর শেষ নেই। তবে এই রহস্য আরও ঘনীভূত করেছে যে বস্তু তার নাম ইউ.এফ.ও (U.f.o)। পৃথিবীর আকাশে মাঝে মাঝেই দেখতে পাওয়া উড়ন্ত এই অদ্ভুত বস্তু এর ব্যাখাও মানুষের কাছে রয়ে গেছে অধরা।


কি এই ইউ.এফ.ও?

ইউ.এফ.ও (U.f.o) এর ফুল ফর্ম হচ্ছে -Unidentified Flying Object। অনেকে অবশ্য ফ্লাইং সসার ও বলে থাকেন। ফ্লাইং সসার বলার পিছে কারন হচ্ছে- অধিকাংশ ইউ.এফ.ও, যা দেখা গেছে বলে দাবী করা হয়, তা অনেকটা সসার বা পিরিচ আকৃতির। তবে ইউ.এফ.ও যে শুধুই সসার আকৃতির, তা কিন্তু নয়। অনেক ইউ.এফ.ও গোলক, অনেক গুলো সিগার আকৃতির, আবার কেউ কেউ বলে পিরামিড এর মতো ইউ.এফ.ও ও নাকি দেখেছেন তারা।

ইউ.এফ.ও এর অস্তিত্ব কি আসলেই আছে নাকি এটি মানব মস্তিস্কের উর্বর কল্পনা?

মানুষ কল্পনাপ্রবন, একথা মিথ্যা নয়। তবে ইউ এফ ও পুরোটাই মানুষের কল্পনা প্রসুত জিনিস, এটা বলাটা বোধ হয় অনেক কঠিন। ইউ.এফ.ও দর্শনের কমপক্ষে হাজারখানেক, বা তার ও বেশি দাবী ব্যাপারটাকে অনেক বেশি প্রতিষ্ঠিত করে গেছে দিনের পর দিন। পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন সময়ে দেখা যাওয়া এই বস্তুরা তাই অবলোকনকারীদের মনে বদ্ধমুল ধারনা জন্মিয়েই ফেলেছে যে পৃথিবীর বাইরে অবশ্যই প্রানের অস্তিত্ব আছে এবং তারা বেশ বুদ্ধিমান।


ইউ.এফ.ও দর্শনের প্রথম ঘটনাঃ

প্রাচীন মিশরের অনেক লিপিতেই এই উড়ন্ত চাকতির উল্লেখ আছে। তাদের মধ্যে একটি বেশ উল্লেখযোগ্য , সেটি হচ্ছে মিশরের অষ্টাদশ রাজবংশের তৃতীয় ফারাও টুথমোজ এর একটি লিপি। ফারাও শীতের তৃতীয় মাস, এবং দিবসের ষষ্ঠ ঘণ্টায় আকাশে কিছু অদ্ভুত দর্শনের উড়ন্ত অগ্নি গোলক দেখতে পান বলে তা লিপিবদ্ধ করে রাখার নির্দেশ দেন। এটি খ্রিস্টের জন্মের ও প্রায় ১৫০০ বছর পূর্বের ইতিহাস।



এর পরেও বহুবার ইউ.এফ.ও এর দর্শনের কথা শোনা যায়। তবে বর্তমান পৃথিবীর ইতিহাস অনুসারে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ইউ.এফ.ও দর্শন এর তারিখ ১৫৬১ সালের ১৪ ই এপ্রিল। স্থান- নুরেমবারগ, জার্মানি।

অতীতে পরে যাই, তার আগে গত ২০-৩০ বছরের কিছু কাহিনী বলি-


হোয়াইটভিল, ভার্জিনিয়া এর ঘটনাঃ



১৯৮৭ সাল।হোয়াইটভিল, ভার্জিনিয়া এর একটি ছোট ,শান্ত , ছিমছাম শহর। WYVE নামের একটি রেডিও স্টেশনে কাজ করেন ড্যানি গরডন নামের এক যুবক। প্রতি রাতের মতো রেডিও বার্তা চেক করতে যেয়ে তিনি বেশ কিছু অস্বাভাবিক রিপোর্ট পান। এই রিপোর্ট কারীদের মধ্যে তিন জন ছিলেন আবার শেরিফ। তারা সবাই হোয়াইটভিল এর আকাশে একগুচ্ছ অদ্ভুত আলো দেখতে পান বলে দাবী করেন। ড্যানি প্রথমে এটি হেসে উড়িয়ে দিলেও মুহূর্তের মধ্যেই হোয়াইটভিল থেকে আরও অনেক তাদের তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন যে এটি তাদের চোখে পড়েছে।

ড্যানি এটিকে ভার্জিনিয়া এয়ার বেস এর কোন এক্সপেরিমেন্ট ভাবলেও তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানিয়ে দেন , সে রাতে এমন কিছু পরীক্ষা করা হয়নি।

ব্যাপারটা ধীরে ধীরে সবার মনেই একটা খটকা তৈরি করে। এর প্রায় দু সপ্তাহ পর, ড্যানি এবং তার বন্ধু রজার হল দুজনেই খুব কাছে থেকে ইউ.এফ.ও দেখতে পান বলে জানান।

"আমরা তখন কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলাম। হঠাৎ করেই গাড়ির বা দিকে আমার চোখ গেলো এবং আমি ভুমির সরলরেখা বরাবর একটি খুব ই অস্বাভাবিক বস্তু লক্ষ্য করলাম। সাথে সাথেই গাড়িটা ডান পাশে রেখে আমরা লাফ দিয়ে গাড়ি থেকে বের হয়ে আসি। আমরা দেখতে পাই , যে আকাশযানটি আমাদের দিকে আসছে , সেটি আকৃতিতে বিশাল এবং তার মাথার দিকে একটি ডোম আছে এবং কোন পাখা অনুপস্থিত। আকাশ যানটির ডান দিক থেকে বিভিন্ন ধরনের উজ্জ্বল আলো বিচ্ছুরিত হচ্ছিল, সেটি যত দ্রুতই আমাদের দিকে ধাবিত হচ্ছিল,
ঠিক ততো দ্রুতই আমাদের থেকে দূরে চলে গেলো, এবং একটা সময় মিলিয়ে গেলো।"


এ ঘটনার তিন মাসের মধ্যেই প্রায় শতাধিক লোক ইউ.এফ.ও গুলোকে বার বার দেখতে পান। কয়েকটি ছবি ও তোলা হয় যার মধ্যে এগুলো উল্লেখযোগ্য





হোয়াইটভিল এর এই অদ্ভুত ঘটনার কোন ব্যাখাই পায়নি হোয়াইটভিলবাসী।



মেক্সিকো এর ঘটনাঃ

১৯৯১ সালের পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের কথা বোধহয় সবারই মনে আছে। সমস্ত পৃথিবী যেন সূর্যগ্রহণ অবলোকন উৎসবে মেতে উঠেছিলো। মেক্সিকো ও ব্যাতিক্রম ছিলনা। কিন্তু কেউ তখন ও ভাবেনি তাদের পুরো দেশকেই এই দিনটা বদলে দিবে ইউ.এফ.ও এর হিস্টিরিয়াতে।

সেই দুপুরে, Guillermo Arragin, নামের একজন টেলিভিশন এক্সিকিউটিভ ছাদের উপরে বসে সূর্যগ্রহণের ভিডিও ধারন করছিলেন। জিনিসটা ঠিক তখনই তার দৃষ্টিগোচর হয়।



Jaime Maussan তখন কাজ করছিলেন Arragin, এর সাথে। তারা পরবর্তীতে সূর্যগ্রহণের ভিডিও টেপটি মেক্সিকান টিভি চ্যানেলে সম্প্রচার করেন, সূর্যগ্রহণের ৮ দিন পরে। এই টেপ টির সাথে তারা ইউ.এফ.ও এর ফুটেজটিও সম্প্রচার করে। মুহূর্তের মধ্যে তারা ৪০০০০ ফোন পান প্রায় একই সাথে। এটা এতোটাই দ্রুত ছিল যে সমস্ত নেটওয়ার্ক বিকল হয়ে যায়। বহু প্রত্যক্ষদর্শী তাদের জানায় , যে তারা ঠিক একই বস্তু দেখেছেন মেক্সিকো এর আকাশে। পরবর্তীতে তারা মেক্সিকান দের ধারণকৃত কমপক্ষে ১৫ টি ভিডিও পান যার সাথে Arragin, এর ভিডিও এর কোন পার্থক্য নেই।




২ মাস পরে ঠিক একই রকম ভাবে আরও অনেক গুলো ইউ.এফ.ও দেখা যায় মেক্সিকোর আকাশে।



ভিডিও টি দেখতে পারেন-




ফিনিক্স রহস্যঃ

মার্চ ১৩, ১৯৯৭ এর রাত। অ্যারিজোনা এর অধিবাসী Michael Krzyston এর অপটু লেন্স এ ধরা পড়লো "v" আকৃতির এক অদ্ভুত আলোক গুচ্ছ।



শুধু Krzyston ই নন, অ্যারিজোনার কমপক্ষে হাজার খানেক মানুষ সে রাতে এক ই আলো দেখেছেন এবং এগুলো যে ইউ.এফ.ও, এ সম্পর্কে তারা প্রায় নিঃসন্দেহ ।





রসওয়েল এর অমীমাংসিত রহস্যঃ

এটি ইউ.এফ.ও এর সাথে সম্পর্কযুক্ত খুব বেশি আলোচিত একটা ঘটনা।

ঘটনার সুত্রপাত ১৯৪৭ সালে একটি বজ্রপাত সহ ঝড়ের মাধ্যমে। 'ম্যাক' নামের এক ভদ্রলোক তখন তার ঘরে বসেই ঝড় দেখছিলেন। হঠাৎ তার বাড়ির সংলগ্ন বড় ক্ষেতে তিনি বেশ বড়সড় এবং অস্বাভাবিক এক বজ্রপাতের শব্দ পান।



পরেরদিন তিনি যখন তার ছেলেকে নিয়ে তার ক্ষেত এর ক্ষয় ক্ষতি দেখতে গেলেন তখন অবাক হয়ে দেখলেন, বজ্রপাতের কোন চিহ্নই নেই। বরং সারা মাঠ জুড়ে পড়ে রয়েছে কোন কিছুর ধ্বংসাবশেষ। প্রায় তিন মাইলের ও বেশি লম্বা এবং দুই তিনশত ফুট প্রস্থ জুড়ে ধ্বংসাবশেষ গুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। ম্যাক এর ভাষ্য অনুসারে, উদ্ধারকৃত টুকরো গুলিকে এককথায় ধাতু বলা যায়না। টুকরোগুলি ছিল বেশ মজবুত, এবং প্লাস্টিক এর মতো হালকা অথচ প্লাস্টিক নয়। দুই তিন ফুট লম্বা টুকরো গুলিও খবরের কাগজের মতোই হালকা ছিল, বলেন ম্যাক। তবে এই টুকরো গুলোকে তিনি কাটতে পারেননি এবং আগুনেও পোড়াতে পারেন নি বলে জানান তিনি।



পরেরদিন রসওয়েল আর্মি এয়ার বেস এ ঘটনাটি জানানো হয়। সেদিন বিকেলেই আর্মি ইন্টেলিজেন্স এর কিছু কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে আসেন। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন মেজর জেসি মারসেল যার উপরে এই ঘটনাটি তদন্তের মুল দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো। তিনিও টুকরো গুলি দেখে হতভম্ব হয়ে যান। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বলে গেছেন যে এটি তার জীবনে দেখা সবচেয়ে বেশি অস্বাভাবিক ঘটনা। তিনিও টুকরো গুলিকে আগুনে পোড়াতে পারেন নি। তিনি দৃঢ় ভাবেই দাবী করেন, এটি কোন ভাবেই এয়ার বেলুন, অথবা পৃথিবীতে তৈরি কোন আকাশ যান এর ধ্বংসাবশেষ নয়। তার কাছে সবচেয়ে আশ্চর্য লেগেছে যে টুকরোটি সেটি একটি ছোট এল বিম এর টুকরো যেটি এর উপরে কিছু অদ্ভুত চিহ্ন এবং অক্ষর খোদাই করা ছিল। এটা থেকে তার মনে বিশ্বাস আরও প্রবল হয় যে এটি পৃথিবীর বাইরের কোন একটা স্থানে তৈরি কোন আকাশযান।



খবরটা নিউজপেপারে চলে আসে মুহূর্তের মাঝেই। ঠিক ওইদিন সক্করো, মেক্সিকো থেকেও ইউ.এফ.ও দর্শনের কিছু রিপোর্ট পাওয়া যায়। এই ঘটনাগুলি রসওয়েল এ বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে।



তবে রসওয়েল এয়ার বেস কোন এক অজ্ঞাত কারনে খবরটা ধামাচাপা দেওয়ার প্রানপন চেষ্টা করে। গ্লেন ডেনিস নামের ২২ বছরের এক ছেলেও ম্যাক এর মাঠ টি পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। পরবর্তীতে তাকেও মিলিটারি ক্যাম্প এ নিয়ে যাওয়া হয় এবং টাকে বলা হয়, এটি নিয়ে আর কোন রকম উচ্চ্যবাচ্চ্য না করার জন্য। এছাড়া ঠিক ওই সময়ে একজন নার্স দাবী করেন, তাকে এয়ার বেস ক্যাম্প এ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তিনটি বডি অটোপসি করার জন্য। তিনি বলেন, তিনটি প্রাণীর কোনটি ই পৃথিবীর নয় এ ব্যাপারে তিনি শতভাগ নিশ্চিত। তিনি প্রানীগুলির বর্ণনা দেন এভাবে-

"তারা আমাকে ডেকেছিল partial autopsy এর জন্য। তাদের ওখানে একটা বড় ক্রাশ ব্যাগ ছিল যেটির মধ্যে দোমড়ানো মোচড়ানো খুব ছোট দুটি বডি ছিল যাদের মাথা ছিল দেহের তুলনায় অনেক বড়। তাদের কোন কান ছিল না, বরং তাদের কানের দুটি ক্যানাল ছিল। তাদের বিবর ছিল দুটি ,এবং তাতে কোন দাত ছিলনা।"



পরবর্তীতে গ্লেন অবশ্য নার্সটিকে অনেক খুজতে চেষ্টা করেছিল , যদিও তাকে আর কখনোই খুজে পাওয়া যায়নি।

এটি প্রমানিত হলে এয়ার বেস মিলিটারি তাদের বিবৃতি দান করে বলেন, তাদের প্রাপ্ত প্রাণীগুলো আসলে একটি এয়ার বেলুনের ডামি ছিল। যদিও তাতে সন্দেহ দূরীভূত না হয়ে উল্টো সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়।



টেক্সাস ইউ.এফ.ওঃ

ডিসেম্বর এর ২৯ তারিখ, ১৯৮০ সাল। ডিনার শেষে গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলেন বিটি ক্যাশ, ভিকি ল্যান্ড্রাম ও তাদের ৭ বছরের নাতি কলবি। টেক্সাসে -ডেয়টন এর কাছাকাছি স্টেট রোড থেকে তারা যখন যাচ্ছিলেন তখন রাত প্রায় ৯ টা। ঠিক এসময় আকাশে খুব উজ্জ্বল এক আলো দেখতে পান তিনজনই। তাদের গাড়ি অগ্রসর হচ্ছিল এবং এ অবস্থাতেই গাছের ফাক থেকে তারা বস্তুটিকে দেখতে পাচ্ছিলেন। বিটি ক্যাশ তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন এভাবেই-

"আমরা তখনো জানতাম না এটা কি, শুধু এটাই বুঝেছিলাম যে এটি প্লেন নয়। আকাশ তখন অত্যাধিক উজ্জ্বল হয়ে পড়েছিলো। একটা সময় ভিকি এর চিৎকারে আমি গাড়ি থামাই এবং বস্তুটিকে দেখার জন্য দরজা খুলে বের হয়ে আসি। বের হওয়ার সাথে সাথেই আমি প্রচণ্ড তাপ অনুভব করি এবং যান টিকে ভালভাবে দেখতে পাই। এটি ছিল অনেকটা ডায়মন্ড এর আকৃতির, যেটার নিচ থেকে প্রচণ্ড ভাবে তাপ নির্গত হচ্ছিল। মুহূর্তের মাঝে আমি পালাতে চাইলাম ওই জায়গা ছেড়ে। গাড়ির হ্যান্ডেল এ যখন হাত দিলাম তখন সেটি পুরোপুরি তপ্ত একটা ধাতু। আমার শুধু মনে হচ্ছিল , আমরা এখান থেকে জীবিত ফেরত যেতে পারবো তো?




ভিকি বলেন -
এর কিছুক্ষনের মধ্যেই বহু হেলিকপ্টার জায়গাটিকে কভার করে ফেলে

পরেরদিন তিনজনই মারাত্মক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাদের হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তাররা জানান, তারা রেডিয়েশন পয়জনিং এ আক্রান্ত হয়েছেন।



পরবর্তীতে ক্যাশ এবং ভিকি সরকারের কাছ থেকে সদুত্তর পাওয়ার আশায় অনেক চেষ্টা করেও সফল হতে পারেন নি। এখানেও টেক্সাস সরকার ধামাচাপা দিয়ে ফেলে ব্যাপারটিকে। পুড়ে যাওয়া রাস্তার ওই অংশটুকু অতি দ্রুত খুড়ে নতুন করে রাস্তা করে দেওয়া হয় যাতে ওটা লোকচক্ষুর দৃষ্টি গোচর না হয়।



ভিকি এবং ক্যাশ আজীবন প্রশ্ন করে গেছেন এই রহস্যজনক ঘটনার, কিন্তু তাদের এই রহস্যের কোন সমাধান দিতে সরকার পক্ষের কেউই এগিয়ে আসেনি।


পানিতেও ইউ.এফ.ওঃ

ইউ.এফ.ও যে শুধু পৃথিবীর আকাশে কিংবা মাটিতে দেখা গেছে , তা কিন্তু নয়। বরং পানিতেও ইউ এফ ও দর্শনের নজির মেলে। বিমিনির উত্তরে আইজাক লাইট আর মিয়ামি এর মধ্যেখানে গালফ স্ট্রিমের জলের তলায় বার বার দেখা গেছে সিগার আকৃতির ইউ.এফ.ও। ডেলমনিকো নামের এক ক্যাপ্টেন পানির নিচে এই সাদাটে ধূসর বস্তুটি দেখতে পান। তার দাবী, এটি কোনভাবে পানিতে আলোড়ন তৈরি না করে চলাফেরা করছিল।

পুয়ের্টোরিকো এর কাছের সাগরেও ইউ.এফ.ও এর দেখা মেলে একবার। মার্কিন নৌবাহিনীর কোন একটা মহড়া চলাকালীন সময়ে তাতে অংশগ্রহণকারী সকল জাহাজ এবং সাবমেরিন এই জলের নিচে ইউ.এফ.ও টা দেখতে পান। সাবমেরিন একে ধাওয়া করলেও বস্তুটি নিমিষেই সাতাশ হাজার ফুট গভীর পর্যন্ত নেমে ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছিলো। এর গতিও ছিল অস্বাভাবিক এবং আলোড়ন বিহীন।

এবার ইউ.এফ.ও সংক্রান্ত নাসা এর কিছু ব্যাখাহীন ঘটনার একটি ভিডিও-




ইউ.এফ.ও এর কিছু ছবিঃ

যদিও ছবি ব্লগ আলাদা করেই দিয়ে দিবো ইউ.এফ.ও এর জন্য, তবু এখানে বেশ কিছু ছবি দিলাম-


১৯৫২, নিউ জার্সি।


১৯৮৭, অরোরা, টেক্সাস।










ইউ.এফ.ও দেখা যাওয়ার কিছু স্থান ও বছরঃ

1883-08-12 - জাকাটেকাস ,মেক্সিকো ।
1886-10-24- মারাকাইবো , ভেনেজুয়েলা।
1897-04-17- অরোরা , টেক্সাস।
1908-06-30- পডকামেনায়া টুনগুস্কা নদী , রাশিয়া।
1917-08-13, 09-13, 10-13 - ফাতিমা , পর্তুগাল।
1926- হিমালয় ,নেপাল।
1942- হোপেহ , চীন।
1942-02-24- লস অ্যাঞ্জেলস , ক্যালিফোর্নিয়া।
1946 - স্ক্যান্ডিনেভিয়া।
1946-05-18 - এঞ্জেলহোম মিউনিসিপালিটি , সুইডেন।
1947-06-21 - ওয়াশিংটন , ইউ এস।
1947-06-24-ওয়াশিংটন , ইউ এস।
1947-07-08 - রসওয়েল ,ইউ এস।
1947-10- ফিনিক্স , অ্যারিজোনা।
1948-01-07- কেন্টাকি , ইউ এস।
1948-07-24- আলাবামা , ইউ এস।
1948-10-01- নর্থ ডাকোটা , ইউ এস।
1950-03-22- নিউ মেক্সিকো , ইউ এস।
1950-05-11- ম্যাকমিনভেল।
1951-08-25- লুব্বক , টেক্সাস।
1952-07-13- ওয়াশিংটন , ইউ এস।
1952-07-24 - নেভাডা।
1952-09-12- ফ্লাটউডস, পশ্চিম ভার্জিনিয়া।
1953-05-21- প্রেসকট, ভার্জিনিয়া।
1953-08-12- বিসমার্ক , ডাকোটা।
1953-11-23- লেক সুপিরিয়র , কানাডা।
1955-08-21-কেন্টাকি।
1957-05-20- পূর্ব আংগ্লিয়া, যুক্তরাজ্য।
1957-11-02- লেভেলান্ড , টেক্সাস।
1959- সোভিয়েত ইউনিয়ন।
1959-06-26&27- পপুয়া নিউগিনি।
1961-09-19- নিউ হ্যাম্পশায়ার।
1964-04-24- সরক্কো , নিউ মেক্সিকো।
1964-09-04-সিস্কো গ্রুভ , ক্যালিফোর্নিয়া।
1965-12-01- সান মিগুয়েল , আর্জেন্টিনা।
1965-12-09- পেন্সিলভেনিয়া।
1966-01-11-ওয়ানাক , নিউ জার্সি।
1966-04-06- ক্লেয়টন , অস্ট্রেলিয়া।
1966-04-17- ওহাইও , ইউ এস।
1966-08-25- মিনোট , ডাকোটা।
1966-10-11- এলিজাবেথ , নিউ জার্সি।
1967-03-05- মিনোট , ডাকোটা।
1967-03-20-মাল্ম স্ট্রম, ইউ এস।
1967-05-20- ফ্যালকন লেক , কানাডা।
1967-08-29- কুসাক , ফ্রান্স।
1967-09-01- সেন্ট লুইস ভ্যালি, কলোরাডো।
1967-10-04- শ্যাগ হারবার, কানাডা।
1967-12-03-অ্যাশল্যান্ড ,নেবরাস্কা।
1969-01-01- প্রিন্স জর্জ , কলোম্বিয়া।
1971-09-04- অ্যারেনাল , কোস্টারিকা।
1973-10-11- মিসিসিপি , ইউ এস।
1974-01-23- নর্থ ওয়েলস যুক্তরাজ্য।
1975-01-12-নর্থ বারজেন , নিউ জার্সি।
1976-06-22-ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ, স্পেন।
1976-09-19- তেহরান , ইরান।
1977-01-06- মন্ট্রিল , কুইবেক।
1978-05-10-এমিলসিন , পোল্যান্ড।
1978-10-21-ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া।
1978-12-21- নিউজিল্যান্ড।
1979-08-27- মিনেসোটা।
1979-11-09- লিভিংস্টোন ,স্কটল্যান্ড।
1979-11-11-ভ্যালেন্সিয়া ,স্পেন।
1980-12-28-সাফফোল্ক,ইংল্যান্ড।
1980-12-29-নিউ ক্যানি , টেক্সাস।
1986-11-17-আলাস্কা।
1990-03-30- ওয়ালোনিয়া, বেলজিয়াম।
1990-11-07-মন্ট্রিল , কুইবেক।
1991-04-21-লন্ডন , ইংল্যান্ড।
1991-09-15- স্পেস শাটল ডিসকভারি , মহাকাশ।
1993-08-08- ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া।
1996-01-20- মিনাস জেরাইস, ব্রাজিল।
1996-12-02-স্পেস শাটল ডিসকভারি , মহাকাশ।
1997-03-13-ফিনিক্স ,অ্যারিজোনা।
1997-08-06- মেক্সিকো সিটি।
2001-03-19-স্পেস শাটল ডিসকভারি , অরবিট।
2001-07-15-নিউ জার্সি।
2005-04-27 -ওয়াশিংটন , ইউ এস।
2007-02-02- লন্ডন , ইংল্যান্ড।
2007-02-16-কালিনিনগ্রাদ, রাশিয়া।
2007-03-03- নিউ দিল্লী , ইন্ডিয়া।
2007-03-10 -ওহাইও
2007-05-02- সাট্টন , ইংল্যান্ড।
2007-05-12 -আয়ারল্যান্ড।
2007-05-27 -কানাডা
2007-05-28- বাঙ্গালোর, ইন্ডিয়া।
2007-09-25-কোডিয়াক , আলাস্কা।
2007-10-30 -কলকাতা , ইন্ডিয়া।
2007-11-08- ল্যারনাকা, সাইপ্রাস।
2008-01-01-সান ডিয়েগো
2008-01-08 to 2008-02-09- স্টিফেনভিল, টেক্সাস, ডাবলিন।
2008-05 to 2008-09- ইস্তানবুল , তুরস্ক।
2008-06-20- যুক্তরাজ্য।
2008-06-21- মস্কো , রাশিয়া।
2008-12-10 -জাগরিব, ক্রোয়েশিয়া।
2009-05-31- কলকাতা , ইন্ডিয়া।
2009- নেভাডা , মেক্সিকো সিটি।
2009-08-16- উরাল , রাশিয়া।
2009-10-20- ফ্লোরিডা, ইউ এস।
2009-12-09- ফিনমার্ক, নরওয়ে এবং সুইডেন।
2010-05 to 2010-12- ইস্তানবুল , তুরস্ক।
2010-07-09 -হেজিয়াং, চীন।
2010-10-13- চেলসি , নিউ ইয়র্ক।
2011-01-26- কলকাতা, পশ্চিম বাংলা।
2011-02-20- ভ্যাঙ্কুভার।
2011-03-28- কলোরাডো।
2011-05-16- লি'স সামিট , মিসিসিপি।


সর্বশেষঃ 26-06-2011 অর্থাৎ এই মাসের ২৬ তারিখ-সিয়াটল, ওয়াশিংটন।




শেষকথাঃ

অনেকে বলেন ইউ.এফ.ও সত্যিই আনাগোনা করে এই গ্রহটিতে। অনেকে বলেন- স্রেফ বুজরুকি। আমি বলি- রহস্যই ভালো। পৃথিবীটা অনেক অদ্ভুত। রহস্য তাকে প্রতিনিয়ত ঘিরে রাখে বলেই তার সৌন্দর্য এতো বেশি। ইউ.এফ.ও কে নিয়ে তাই কিছু রহস্য চিরকাল বেচে থাকুক মানুষের মনে। এতো বড় বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড, তার রহস্যটাও বড় না হলে ঠিক মানায় না।


        মুল লেখা http://www.somewhereinblog.net/blog/incognitorulz/29404669




http://www.somewhereinblog.net
Blogger Widgets