এরশাদ-এর কিছু দুঃখের কথা:
"একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীকে চাকরিতে পুনর্বহালের
সুপারিশ করেছি- তার জন্যও মামলা হয়েছে। ইরাকের
প্রেসিডেন্টের দেয়া একটি শো-পিস পিস্তল শো-
কেসে রেখেছি- তার জন্য অস্ত্রআইনে আমার
বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এরশাদ সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন,
‘তোমরা আমার সম্পর্কে অনেক কথা বলো,
আমি নাকি সকালে এক কথা, বিকালে অন্য কথা বলি। তোমাদের
এ কথার কিছুটা সত্যতাও রয়েছে। কিন্তু তোমরা এর কারণ
উপলব্ধি করো না। সব কষ্টের কথা বলা যায় না।
আমি শৃঙ্খলিত রাজনীতিবিদ। আমি যুদ্ধ করে চলেছি মামলার
বিরুদ্ধে। ৬ বছর ২ মাস জেলে ছিলাম।
ইফতারে একটা মিষ্টি চেয়েছিলাম। আমাকে মিষ্টি দেয়া হয়নি।
অসুস্থ ছিলাম আমার তৈরি করা হাসপাতালে আমাকে চিকিৎসার
ব্যবস্থা করা হয়নি। আমি ৮ বছর সেনাপ্রধান ছিলাম। আমার
সেনানিবাসের হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার অধিকার আছে।
আমি সেনাকুঞ্জ, অডিটরিয়াম, আর্মি স্টাফ কলেজ
তৈরি করেছি।আমাকে ২০ বছর সেনানিবাসে যেতে দেয়া হয়নি।
আমার নামে ৭৪টি মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছিল।
তিনি আবেগতাড়িত হয়ে বলেন, আমার ক্ষমতা ছাড়ার পাঁচ বছর
পর মঞ্জুর হত্যা মামলা করা হয়েছে। অথচ মামলার রায় এখনও
হয়নি।আশা করেছিলাম গত মাসে মামলার রায় কবে। কিন্তু
মামলার রায় দুই মাস পিছিয়ে ২১শে জানুয়ারি পর্যন্ত
ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। ঘটনার ১৪ বছর পর যখন কোন মামলায়
আমাকে আটকানো যাচ্ছিল না, তখন মঞ্জুর
হত্যা মামলা করা হয়। সেই মামলা ১৮ বছর ধরে চলছে। ১৩ জন
জাজ বদলি হয়েছেন। কিন্তু মামলার গতি বদল হয়নি। অর্থাৎ
আমাকে ঝুলিয়ে রাখতেই হবে। কোন সাক্ষী আমার
বিরুদ্ধে একটি কথাও বলেনি। এবার চুপ থাকবো না।
এরশাদ
বলেন, জীবনের শেষ প্রান্তে এসে বলছি-
‘আমি স্বাধীনভাবে রাজনীতি করতে চাই। আমি মৃত্যু ও জেলের
ভয় করি না। কারও কাছে হাত পাতি না। কারও কাছ
থেকে টাকা নিয়ে রাজনীতি করি না।আমার নিজের বলতে কিছু
নেই। নেই কোন সম্পদ। নিঃস্ব হয়ে গেছি রাজনীতি করে।"
এখনো নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হবার পর ও শেখ
হাসিনার বক্তব্য অবাদে বাংলাদেশ টেলিভিশন বাংলাদেশ
বেতারে প্রচার করা হলে ও এরশাদ মাত্র ৩৫ মিনিট সময়
বাংলাদেশ বেতারে চেয়েছিল । তথ্যমন্ত্রলায় থেকে তা দেয়া হয়
নি ।আসলে সবাই আমরা এরশাদকে নিয়ে মজা লুটছি ।
ভিতরে খবর আমরা কেউ জানি না, কতটা অসহায় হলে মানুষ
আত্মহত্যার কথা ভাবে । একটু ভেবে দেখবেন !