Pages

* একটা কম্পিউটারের অন্তত দশ লক্ষাধিক শক্তিশালী হ্‌ওয়া লাগবে মানব মস্তিস্কের সমান কাজ করতে হলে ।

* একটা নয়া মডেলের শক্তিশালী কম্পিউটার একটা .১ গ্রাম ওজনের গোল্ডফিসের মস্তিস্কের সমানও কাজ করতে সক্ষম নয় ।


* মানব মস্তিস্ক শরীরের আয়তনের মাত্র ২% হলেও এর শক্তি চাহিদা অনেক । মোট শক্তির ২০% ।

* প্রতিদিন মহিলারা গড়ে ৭০০০ বাক্য বলে থাকে, আর পুরুষরা বলে থাকে ২০০০ বাক্য ।

* পৃথিবী যদিও নিজ অক্ষে ঘন্টায় ১০০০ মাইল বেগে ঘোরে, কিন্তু অবিশ্বাস্য গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে চলে, ঘন্টায় প্রায় ৬৭০০০ মাইল বেগে ।

* পৃথিবীতে বছরে প্রায় ১০০০০০০ এরও বেশী ভুমিকম্প হয়ে থাকে ।

* প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১০০ বজ্রপাত পৃথিবীতে হয়ে থাকে ।

* ১২৫০ সালে রজার বেকন আতশী কাচ আবিস্কার করেন ।

* ডিএনএ প্রথম আবিস্কৃত হয় ১৮৬৯ এ সুইস ফ্রেডরিক মিস্কলার* এর মাধ্যমে ।

* এযাবৎকালের সবচেয়ে উচুতম গাছটি হল একটি অস্ট্রেলিয়ান ইউক্যালিপটাস গাছ, যার উচ্চতা ৪৩৫ ফুটের মতো ।

* ইলেকট্রিক ঈল মাছ প্রায় ৬৫০ ভোল্ট শক দিতে পারে ।

* ১৯৬২ সালে প্রথম টেলিফোন এবং টিভি সিগন্যাল রিলেতে সক্ষম যোগাযোগ উপগ্রহ টেলস্টার উৎক্ষেপন করা হয় ।

*সারা শরীর ঘুরে আসতে একটি রক্ত কোষের ৬০ সেকেন্ডের মতো সময় লাগে ।

* একজন পুরুষ দেহে এক সেকেন্ডে প্রায় ১০০০ কোষ শুক্র তৈরী হয়, প্রায় ৮৬০০০০০০ এক দিনে ।

* যদি আলোর গতিতেও যাত্রা শুরু করা হয়, তাহলেও নিকটস্থ ছায়াপথ এন্ড্রোমিডাতে যেতে বিশ লক্ষ বছর লাগবে ।

* সবচেয়ে বড় মরুভূমি সাহারার আয়তন প্রায় ৩,৫০০,০০০ বর্গ মাইল ।

* মাধ্যাকর্ষন শক্তি থেকে বের হতে একটি রকেটকে সেকেন্ডে ৭ মাইল গতিতে চলতে হয় ।

* আকার অনুযায়ী গুবরে পোকা (বিটল) হল পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী পোকা, একটা রাইনোসোরাস গুবরে তার নিজের ‌ওজনের চেয়ে প্রায় ৮৫০ গুন বেশী বইতে পারে ।

* লাল ও সবুজ গ্যাসের ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি প্রথম শুরু হয় লন্ডনে ১৮৬৮ সালে । কিন্তু দুঃখজনকভাবে সেগুলো বিস্ফোরিত হয় এবং একজন পুলিশ নিহত হয়, প্রথম সফল সিগন্যাল বাতি স্থাপন হয় ১৯১৪ সালে ক্লিভল্যান্ড, ওহিওতে ।

* মানব হৃৎপিন্ডদিনে প্রায় ১০০,০০০ বার স্পন্দিত হয় ।

* মাথা ছাড়াও তেলাপোকা ৯ দিন বেচে থাকতে পারে ।

* অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দিন অপেক্ষা রাতেই শিশু জন্মহার বেশী ।

* শিকারের কারনে বিলুপ্ত হবার প্রায় ১০০ বছর পর ১৫০৭ সালে ডোডো আবিস্কার হয় ।

* ৪,৮০০ বছর আগে মিশরীয়রা ৩৬৫ দিনের বছর সম্পর্কে জানতো ।


আপনি পৃথিবীর কততম মানুষ জানেনকি?



আমি পৃথিবীর 5,063,710,982 তম মানুষ। আপনি?


সাতশ’তম অথবা আটশ’তম ব্যক্তির হিসেবে হয়তো অনেকেই রাখেন। বিশেষ করে বিশ্বের জনসংখ্যা ব্যুরোগুলোতে এই সৌভাগ্যবান ব্যক্তির নাম অনেকটা যত্নসহকারে লেখা থাকে। কিন্তু আপনি কততম সে খবর রাখে কে?

তব পরিসংখ্যানবিদ আর গবেষকরাতো বসে নেই। বিশ্বের সব মানুষই যেন জনসংখ্যায় নিজের অবস্থান জানতে পারেন সে জন্য তারা আবিষ্কার করেছেন এক বিস্ময়কর অনলাইন ক্যালকুলেটর!

নির্দেশনা মতো আপনার জন্মতারিখ অর্থাৎ তারিখ, মাস, বছরের ঘর পূরণ করে ‘গো’ অর্থাৎ সার্চে ক্লিক করলেই পেয়ে যাবেন আপনার অবস্থান!

লিঃক এ জান

নবীজী (সা) এর প্রিয় বারোটি খাবার



এক. বার্লি (জাউ): এটা জ্বরের জন্য এবং পেটের পীড়ায়
উপকারী।
দুই. খেজুর: খেজুরের গুণাগুণ ও খাদ্যশক্তি অপরিসীম। খেজুরের
খাদ্যশক্তি ও খনিজ লবণের উপাদান শরীর সতেজ রাখে।
নবীজী (স: ) বলতেন,যে বাড়ীতে খেজুর নেই সে বাড়ীতে কোন
খাবার নেই।এমনকি সন্তান প্রসবের পর প্রসূতি মাকে খেজুর
খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আল্লাহর নবী।
তিন. ফিগস বা ডুমুর: ডুমুর অত্যন্ত পুষ্টিকর ও ভেষজগুণ
সম্পন্ন যাদের পাইলস ও কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তাদের জন্য
অত্যন্ত
উপযোগী খাবার।
চার. আঙ্গুর: নবীজী (স: ) আঙ্গুর খেতে অত্যন্ত ভাল
বাসতেন।আঙ্গুরের পুষ্টিগুণ ও খাদ্যগুণ অপরিসীম। এই
খাবারের উচ্চ খাদ্য শক্তির
কারণে এটা থেকে আমরা তাত্ক্ষণিক এনার্জি পাই
এবং এটা স্বাস্থ্যের
জন্য উপকারী। আঙ্গুর কিডনির জন্য উপকারী এবং বাওয়েল
মুভমেন্টে সহায়ক। যাদের আইবিএস বা ইরিটেবল বাওয়েল
সিনড্রোম আছে তারা খেতে পারেন।
পাঁচ. মধু- মধুর নানা পুষ্টিগুণ ও ভেষজ গুণ রয়েছে।
মধুকে বলা হয় খাবার, পানীয় ও ওষুধের সেরা।হালকা গরম
পানির সঙ্গে মিশিয়ে মধু পান ডায়রিয়ার জন্য ভালো।
খাবারে অরুচি,পাকস্থলীর সমস্যা, হেয়ার কন্ডিশনার ও মাউথ
ওয়াশ হিসেবে উপকারী।
ছয়. তরমুজ- সব ধরনের তরমুজ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
নবীজী (স: ) তরমুজ
আহারকে গুরুত্ব দিতেন। যেসব গর্ভবতী মায়েরা তরমুজ আহার
করেন তাদের সন্তান প্রসব সহজ হয়। তরমুজের পুষ্টি, খাদ্য
ও ভেষজগুণ এখন সর্বজনবিদিত ও
বৈজ্ঞানিক সত্য।
সাত. দুধ- দুধের খাদ্যগুণ, পুষ্টিগুণ ও ভেষজগুণ বর্ণনাতীত।
দেড় হাজার বছর আগে বিজ্ঞান যখন অন্ধকারে তখন
নবীজী (স: ) দুধ সম্পর্কে বলেন, দুধ হার্টের জন্য
ভালো। দুধ পানে মেরুদন্ড সবল হয়,মস্তিষ্ক সুগঠিত হয়
এবং দৃষ্টিশক্তি ও স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়। আজকের
বিজ্ঞানীরাও দুধকে আদর্শ খাবার হিসেবে দেখেন এবং এর
ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি অস্থিগঠনে সহায়ক।
আট. মাশরুম- আজ বিশ্বজুড়ে মাশরুম একটি অত্যন্ত
পুষ্টিকর খাবার এবং মাশরুম
নিয়ে চলছে নানা গবেষণা। অথচ দেড় হাজার বছর
আগে নবীজী (স: ) মাশরুম চোখের জন্য
ভালো এবং এটা বার্থ কন্ট্রোলে সহায়ক এবং মাশরুমের
ভেষজগুণের কারণে এটা নার্ভ শক্ত করে এবং শরীর
প্যারালাইসিস বা অকেজো হওয়ার প্রক্রিয়া রোধ করে।
নয়. অলিভ অয়েল: অলিভ অয়েলের খাদ্য ও পুষ্টিগুণ বহুমুখী।
তবে আজ মানুষের ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষা ও বয়স ধরে রাখার
জন্য যারা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছেন তাদের দেড়
হাজার বছর আগে নবীজী (স: ) অলিভ অয়েল ব্যবহারের
পরামর্শ দিয়েছেন। গবেষণায় দেখা গেছে অলিভ অয়েল ত্বক ও
চুলের জন্য ভালো এবং বয়স ধরে রাখার ক্ষেত্রে সহায়ক
বা বুড়িয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করে।এছাড়া অলিভ
অয়েল পাকস্থলীর প্রদাহ নিরাময়ে সহায়ক।
দশ. ডালিম-বেদানা: বেদানার পুষ্টিগুণ ও খাদ্যগুণের
পাশাপাশি এটার ধর্মীয় একটি দিক আছে এবং নবীজী (স: )
বলতেন, এটা আহারকারীদের শয়তান ও মন্দ
চিন্তা থেকে বিরত রাখে।
এগার. ভিনেগার- ভিনেগারের ভেষজ গুণ ও খাদ্যগুণ অপরিসীম।
নবীজী (স: ) অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে ভিনেগার খাওয়ার
পরামর্শ দিয়েছেন। অথচ আজকের এই মডার্ন ও বিজ্ঞানের
অভূতপূর্ব সাফল্যের যুগে বিশ্বের বড় বড় নামি-
দামি রেস্টুরেন্ট
বিশেষ করে এলিট ইটালিয়ান রেস্টুরেন্টে অভিল অয়েল ও
ভিনেগার একসঙ্গে মিশিয়ে পরিবেশন করা হয়।
বার. খাবার পানি: পানির অপর নাম জীবন। পানির ভেষজগুণ
অপরিসীম। দেড় হাজার বছর আগে নবীজী (স: )পানিকে পৃথিবীর
সেরা ড্রিংক বা পানীয় হিসাবে উল্লেখ
করেছেন। সৌন্দর্য চর্চা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য রক্ষায়
চিকিত্সা বিজ্ঞানীরা আজ প্রচুর পানি পান করতে বলেন।:
এক. বার্লি (জাউ): এটা জ্বরের জন্য এবং পেটের পীড়ায়
উপকারী।
দুই. খেজুর: খেজুরের গুণাগুণ ও খাদ্যশক্তি অপরিসীম। খেজুরের
খাদ্যশক্তি ও খনিজ লবণের উপাদান শরীর সতেজ রাখে।
নবীজী (স: ) বলতেন,যে বাড়ীতে খেজুর নেই সে বাড়ীতে কোন
খাবার নেই।এমনকি সন্তান প্রসবের পর প্রসূতি মাকে খেজুর
খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আল্লাহর নবী।
তিন. ফিগস বা ডুমুর: ডুমুর অত্যন্ত পুষ্টিকর ও ভেষজগুণ
সম্পন্ন যাদের পাইলস ও কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তাদের জন্য
অত্যন্ত
উপযোগী খাবার।
চার. আঙ্গুর: নবীজী (স: ) আঙ্গুর খেতে অত্যন্ত ভাল
বাসতেন।আঙ্গুরের পুষ্টিগুণ ও খাদ্যগুণ অপরিসীম। এই
খাবারের উচ্চ খাদ্য শক্তির
কারণে এটা থেকে আমরা তাত্ক্ষণিক এনার্জি পাই
এবং এটা স্বাস্থ্যের
জন্য উপকারী। আঙ্গুর কিডনির জন্য উপকারী এবং বাওয়েল
মুভমেন্টে সহায়ক। যাদের আইবিএস বা ইরিটেবল বাওয়েল
সিনড্রোম আছে তারা খেতে পারেন।
পাঁচ. মধু- মধুর নানা পুষ্টিগুণ ও ভেষজ গুণ রয়েছে।
মধুকে বলা হয় খাবার, পানীয় ও ওষুধের সেরা।হালকা গরম
পানির সঙ্গে মিশিয়ে মধু পান ডায়রিয়ার জন্য ভালো।
খাবারে অরুচি,পাকস্থলীর সমস্যা, হেয়ার কন্ডিশনার ও মাউথ
ওয়াশ হিসেবে উপকারী।
ছয়. তরমুজ- সব ধরনের তরমুজ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
নবীজী (স: ) তরমুজ
আহারকে গুরুত্ব দিতেন। যেসব গর্ভবতী মায়েরা তরমুজ আহার
করেন তাদের সন্তান প্রসব সহজ হয়। তরমুজের পুষ্টি, খাদ্য
ও ভেষজগুণ এখন সর্বজনবিদিত ও
বৈজ্ঞানিক সত্য।
সাত. দুধ- দুধের খাদ্যগুণ, পুষ্টিগুণ ও ভেষজগুণ বর্ণনাতীত।
দেড় হাজার বছর আগে বিজ্ঞান যখন অন্ধকারে তখন
নবীজী (স: ) দুধ সম্পর্কে বলেন, দুধ হার্টের জন্য
ভালো। দুধ পানে মেরুদন্ড সবল হয়,মস্তিষ্ক সুগঠিত হয়
এবং দৃষ্টিশক্তি ও স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়। আজকের
বিজ্ঞানীরাও দুধকে আদর্শ খাবার হিসেবে দেখেন এবং এর
ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি অস্থিগঠনে সহায়ক।
আট. মাশরুম- আজ বিশ্বজুড়ে মাশরুম একটি অত্যন্ত
পুষ্টিকর খাবার এবং মাশরুম
নিয়ে চলছে নানা গবেষণা। অথচ দেড় হাজার বছর
আগে নবীজী (স: ) মাশরুম চোখের জন্য
ভালো এবং এটা বার্থ কন্ট্রোলে সহায়ক এবং মাশরুমের
ভেষজগুণের কারণে এটা নার্ভ শক্ত করে এবং শরীর
প্যারালাইসিস বা অকেজো হওয়ার প্রক্রিয়া রোধ করে।
নয়. অলিভ অয়েল: অলিভ অয়েলের খাদ্য ও পুষ্টিগুণ বহুমুখী।
তবে আজ মানুষের ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষা ও বয়স ধরে রাখার
জন্য যারা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছেন তাদের দেড়
হাজার বছর আগে নবীজী (স: ) অলিভ অয়েল ব্যবহারের
পরামর্শ দিয়েছেন। গবেষণায় দেখা গেছে অলিভ অয়েল ত্বক ও
চুলের জন্য ভালো এবং বয়স ধরে রাখার ক্ষেত্রে সহায়ক
বা বুড়িয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করে।এছাড়া অলিভ
অয়েল পাকস্থলীর প্রদাহ নিরাময়ে সহায়ক।
দশ. ডালিম-বেদানা: বেদানার পুষ্টিগুণ ও খাদ্যগুণের
পাশাপাশি এটার ধর্মীয় একটি দিক আছে এবং নবীজী (স: )
বলতেন, এটা আহারকারীদের শয়তান ও মন্দ
চিন্তা থেকে বিরত রাখে।
এগার. ভিনেগার- ভিনেগারের ভেষজ গুণ ও খাদ্যগুণ অপরিসীম।
নবীজী (স: ) অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে ভিনেগার খাওয়ার
পরামর্শ দিয়েছেন। অথচ আজকের এই মডার্ন ও বিজ্ঞানের
অভূতপূর্ব সাফল্যের যুগে বিশ্বের বড় বড় নামি-
দামি রেস্টুরেন্ট
বিশেষ করে এলিট ইটালিয়ান রেস্টুরেন্টে অভিল অয়েল ও
ভিনেগার একসঙ্গে মিশিয়ে পরিবেশন করা হয়।
বার. খাবার পানি: পানির অপর নাম জীবন। পানির ভেষজগুণ
অপরিসীম। দেড় হাজার বছর আগে নবীজী (স: )পানিকে পৃথিবীর
সেরা ড্রিংক বা পানীয় হিসাবে উল্লেখ
করেছেন। সৌন্দর্য চর্চা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য রক্ষায়
চিকিত্সা বিজ্ঞানীরা আজ প্রচুর পানি পান করতে বলেন।



জুলিয়ান বিভার এবং রাস্তায় আঁকা কিছু অসাধারণ "ত্রিমাত্রিক" ছবি





ব্রিটিশ চিত্রশিল্পী "জুলিয়ান বিভার" সবচেয়ে বেশি পরিচিত তার আঁকা অসাধারণ ত্রিমাত্রিক ছবির জন্য। এই কাজে দক্ষতার জন্য তাকে "পেইভমেণ্ট পিকাসো" বলা হয়। চলুন তার করা অসাধারণ কিছু কাজ দেখে আসি।








































ইতিহাসে ঘটে যাওয়া কিছু বিস্ময়কর সমাপতন !


১. আব্রাহাম লিঙ্কন এবং জন এফ কেনেডি।
--যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন এবং জন এফ কেনেডি। উভয়েই কংগ্রেস কর্তৃক প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। আব্রাহাম লিঙ্কন নির্বাচিত হয়েছিলেন ১৮৪৬ সালে এবং জন এফ কেনেডি ১৯৪৬ সালে ।
---উভয় প্রেসিডেন্ট সাধারণ জনগনের অধিকার বাস্তবায়নের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন এবং দুজনেই আততায়ীর হাতে নিহত হন এবং উভয়েরই মৃত্যুর দিনটি ছিল শুক্রবার ।
---হোয়াইট হাউসে থাকা কালীন সময়ে উভয় প্রেসিডেন্টের স্ত্রী যার যার একটি করে সন্তান হারান ।
----উভয় প্রেসিডেন্ট এর ঘাতকদের জন্মস্থান ছিল যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিনাঞ্চল এলাকায়। লিঙ্কনের ঘাতক জন (John Wilkes Booth) এবং কেনেডির ঘাতক লি (Lee Harvey Oswald) দুজনের নামের অক্ষরের সমষ্টি ১৫।

---লিঙ্কন এবং কেনেডির মৃত্যুর পর যে দুজন ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট পদে স্থলাভিষিক্ত হন তাদের উভয়ের পারিবারিক নাম ছিল জনসন। অন্দ্রেউ জনসন যিনি লিঙ্কনের স্থলে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তার জন্মসাল ছিল ১৮০৮ এবং কেনেডির স্থলে লিন্ডন বি জনসন, তার জন্মসাল ছিল ১৯০৮।


২.টিটান এবং টাইটানিক
যুক্তরাষ্ট্রের উপন্যাসিক মরগ্যান রবার্টসন এর ১৮৯৮ সালে লেখা ভ্যানিটি উপন্যাসটি পড়ে সেদিন কেউ কল্পনা করতে পারেনি তার গল্পের রাজকীয় "টিটান" ছিল ১৪ বছর পর ডুবে যাওয়া বিলাসবহুল টাইটানিক জাহাজের প্রতিচ্ছবি। টাইটানিক জাহাজের চাকচিক্য, অভ্যন্তরের সুদৃশ্য জিনিস ইত্যাদি হুবহু মিল ছিল তার গল্পের "টিটান" জাহাজটিতে। গল্পের টিটান এবং বাস্তবের টাইটানিক উভয় জাহাজকে এপ্রিল মাসের মধ্যরাতে উত্তর আটলান্টিকের গভীর সমুদ্রে দুর্যোগের সমুক্ষিন হতে হয়। গল্পকার টিটান জাহাজটিতে যাত্রী ও ক্রেউ সংখ্যা, লাইফ বোট, মাল বহন করার ক্ষমতা এবং জাহাজের আকার এমনভাবে চিত্রায়িত করেছিলেন যেটা বাস্তবে টাইটানিক জাহাজে উপস্থিত ছিল। রবার্টসনের টিটান জাহাজটিতে যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ছিল ৩০০০ হাজার এবং ২৪টি লাইফ বোট পক্ষান্তরে বাস্তবের টাইটানিক জাহাজের যাত্রী ধারণক্ষমতা ছিল ২২০৭ জন এবং ২০টি জীবনরক্ষাকারী বোট। গল্পের জাহাজটির ওজন ছিল ৭৫ হাজার টন আর টাইটানিক এর ওজন ছিল ৬৬ হাজার টন। কল্পনার জাহাজটি দৈর্ঘ্যে ছিল ২৪৩ মিটার যা কিনা টাইটানিকের দৈর্ঘ্যের কাছাকাছি ২৬৮ মিটার। টিটান এবং টাইটানিকের গতিবেগ ছিল যথাক্রমে ২৫ নট এবং ২৩ নট। টিটান এবং টাইটানিক দুটি জাহাজই ভাসমান বিশাল বরফখন্ডের সাথে ধাক্কা লেগে সমূদ্রের অতল গহ্বরে হারিয়ে যাওয়া, এ যেন সবই একই সূত্রে গাঁথা।


৩. টুইন টাওয়ার নিয়ে গণিতিক সমাপতন
---নিউ ইয়র্ক শহরের অক্ষর সমষ্টি ১১ এবং আফগানিস্তানের অক্ষর সমষ্টি ১১ ।
---ইউসুফ রামসী {Ramzi Yousef (১৯৯৩ সালে টুইন টাওয়ার হামলার পরিকল্পনাকারী)} এবং বুশ (George W Bush) এর নামের অক্ষর সমষ্টি ১১।
---টুইন টাওয়ারে প্রথম যে বিমানটি আঘাত হানে সেই ফ্লাইট এর নম্বর ছিল ১১ ,
এবং ফ্লাইট নং ১১ তে মোট যাত্রী ছিল ৯২ জন , ৯ +২ = ১১ ।
---দ্বিতীয় টাওয়ারে আঘাতকারী ফ্লাইট নং ৭৭ এর যাত্রীসংখ্যা ছিল ৬৫জন , ৬+৫ = ১১।
---বিয়োগান্তর নাটকটি ঘটে ১১ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ ৯ / ১১ , ৯ +১+১ = ১১।
---১১ সেপ্টেম্বর ক্যালেন্ডারের ২৫৪ তম দিন, ২ + ৫+ ৪ = ১১।



৪. দুই ভাইয়ের সর্বনাশা নিয়তি ।
---১৯৭৫ সালে বার্মুদায় একটি সড়ক দুর্ঘটনায় এক মটর সাইকেল চালক টেক্সির নিচে পৃষ্ঠ হয়ে মারা যায়। দুর্ঘটনাটি ঘটার ঠিক এক বছর পর নিহত ব্যক্তির ভাই একই মটর সাইকেলে যে রাস্তায় তার ভাই নিহত হয়েছিল সেই রাস্তা দিয়ে যাবার কালে তার ভাইয়ের হত্যাকারী সেই টেক্সী চালকের হাতে অনুরূপভাবে নিজেও প্রাণ হারায়।


৫. ইতিহাসের সবচেয়ে ধীর গতির বুলেট ।
ঘটনাটি ছিল ১৮৯৩ সালে। হেনরি জাইগল্যান্ড নামের আমেরিকার টেক্সাসের কাঠুরি তার বাগদত্তাকে প্রত্যাক্ষান করলে মেয়েটি অভিমানে আত্মহত্যা করে। বোনের অকাল মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে মেয়েটির ভাই হেনরির বাসস্থানে উপস্থিত হয় এবং বাড়ির সংলগ্ন বাগানে হেনরিকে দেখামাত্রই তাকে লক্ষ করে গুলি চালায়। আক্রমনকারী পরক্ষণে মানুষ খুন করেছে ভেবে তার ভিতরে অনুতাপ, অনুশোচনা সৃষ্টি হলে সে নিজের দেহে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করে।
কিন্তু সেদিন সেই দুর্ঘটনার হাত থেকে হেনরি সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যায়। গুলি তার চোয়াল ভেদ করে পাশ্ববর্তী একটি গাছে বিদ্ধ হয়। যাহোক ঘটনার ২০ বছর পর অর্থাৎ ১৯১৩ সালে হেনরি নতুন করে বাগানের কা শুরু করার উদ্দেশ্যে সেই গুলিবিদ্ধ গাছটি ডিনামাইট দিয়ে উৎপাটন করার সির্ধান্ত নেয়। যথারীতি সে ডিনামাইট এর সাহায্যে প্রচন্ড বিস্ফোরণ ঘটায়, কিন্তু বিধিবাম বিস্ফোরণটি গাছে বিদ্ধ থাকা গুলির চালকযন্ত্ৰ হিসাবে কাজ করে এবং গুলিটি সচল হয়ে সরাসরি হেনরির মাথায় বিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থলে প্রাণ হারায় হেনরি।


৬.মেজর সামারফোর্ড এবং তার অনুসরনকারী ঘাতক বজ্রবিদ্যুত।
এক ব্রিটিশ মেজর নাম সামারফোর্ড। ১৯১৮ সালে ফ্লান্দেরস নামক একটি যুদ্ধের ময়দানে সামারফোর্ড বজ্রপাতে আক্রান্ত হলে তার দেহের নিম্নাংশ থেকে কোমর পর্যন্ত অবশ হয়ে যায়। এরপর পঙ্গুত্বের কারণে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হলে তিনি স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য কানাডার ভান্কুবের চলে যান। ১৯২৪ সালের কোনো একদিনে সামারফোর্ড একটি গাছে চড়ে বরশি দিয়ে মাছ ধরার সময় আচমকা গাছটির উপর বজ্রপাত হয়। এবারও বজ্রাঘাতে বেচারা সামারফোর্ডএর শরীরের ডানপার্শ্ব অবশ হয়ে যায়। অবশেষে দুই বছর ভোগার পর সামারফোর্ড ধীরে ধীরে আরোগ্য লাভ করেন এবং পার্কে পায়চারী করার মত শারীরিক শক্তি ফিরে পান। এরপর ১৯৩০ সালের গ্রীস্মকালে পার্কে পায়চারী করার সময় আবারও তার উপর বজ্র আঘাত হানে এবং এবার তিনি স্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়ে যান। দুই বছর পঙ্গুত্ব নিয়ে বেঁচে থাকার পর অবশেষে সামারফোর্ড মারা যান। কিন্তু এখানেই সব শেষ নয়, সামারফোর্ড এর মৃত্যুর ৪ বছর পর এক ঝড়ের রাতে একটি সমাধিক্ষেত্রের সমাধিপ্রস্তর বজ্রপাতের আঘাতে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। কে শুয়ে ছিলেন ছিলেন সেই সমাধিত? সে অন্য কেউ নয়, মেজর নাম সামারফোর্ড।



৭ .হেথ লেডগার এবং ব্রানডন লী।
--- লেড্গার ও লী দুজনই ছিলেন সুদর্শন যুবক এবং চিত্র জগতে সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব । দুজনেই ২৮ বছর বয়সে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন ।
---লেড্গারের বাল্যকালে পিতামাতার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে যা লী বেলায়ও হয়েছিল।
--- লেড্গারের মা ছিলেন পেশায় অধ্যাপক, লী এর মা ও ছিলেন তাই।
--- লেড্গারের পিতা ছিলেন দক্ষ গাড়ীচালক এবং ক্রীড়াবিদ এবং সিনেমার প্রতি তিনি ছিলেন আবেগতাড়িত। ব্রান্দনের পিতা ব্রুসলী ছিলেন চলচ্চিত্রের অভিনেতা এবং ক্রীড়াবিদ এবং গাড়ীর প্রতি ছিল তার প্রবল আকর্ষণ।
---লেড্গার যুবক বয়সেই বন্দুক ও বন্দুক চালনার প্রতি আকৃষ্ট হন এবং অতিরিক্ত মাত্রায় মাদক সেবন করার কারণে মৃত্যুবরণ করেন। লীও যুবক বয়সে মাদকের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং মাথায় গুলির আঘাতে মৃত্যুবরণ করেন।
---উভয় অভিনেতা নিজেকে অসাধারণভাবে তুলে ধরার জন্য চোখে রং মাখিয়ে কাজল কালো চোখ বানাতেন আর মুখমন্ডলে নিতেন সাদা মেকআপ এবং উভয়েরই মুখে লেগে থাকত মৃদু হাসি। লীর ছিল অমায়িক হাসি আর লেড্গারের হাসি ছিল রহস্যপূর্ণ


৮.মি.জোসেফ এবংদুদফা অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া শিশু।
১৯৩০ সালের ঘটনা। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়ট শহরের অধিবাসী জোসেফ ফিগলোক এক খামখেয়ালী ও অমনোযোগী মায়ের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি হয়ে উঠেছিলেন। একদিন একটি বাড়ীর দোতলার জানলা দিয়ে একটি শিশু নিচে পরে যায়। ঠিক সেই সময় মি. জোসেফ ঐ বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছিলেন এবং বাচ্চাটি তার শরীরের উপর পরে। তবে সৌভাগ্যক্রমে সে যাত্রায় উভয়ই অক্ষত অবস্থায় রক্ষা পায়। দুর্ঘটনার ১ বছর পর ঐ শিশুটি একই ভাবে একই জানলা দিয়ে দ্বিতীয়বার নিচে পরে যায়। অবাক কান্ড এই যে , সেদিনও মি. জোসেফে সেই বাড়ির সামনে দিয়ে হেটে যাচ্ছিলেন এবং শিশুটি আবারও তার গায়ের উপর পরে এবং উভয়ই অক্ষত অবস্থায় রক্ষা পায়।



৯. নেপোলিয়ন এবং হিটলার ।
---নেপোলিয়ানের সিংহাসনে আহরণের সময়কাল ছিল ১৮০৪ সাল, অন্যদিকে হিটলারের চ্যান্সলর পদে আসীন হওয়ার সময়কাল ছিল ১৯৩৩ সাল। সময়কালের পার্থক্যঃ ১২৯ বছর ।
---নেপোলিয়ন ভিয়েনায় পদার্পণ করেন ১৮০৯ সালে পক্ষান্তরে হিটলার ভিয়েনায় পা রাখেন ১৯৩৮ সালে। সময়কালের পার্থক্যঃ ১২৯ বছর।
-- নেপোলিয়ন রাশিয়ায় প্রবেশ করেন ১৮১২ সালে অপরদিকে হিটলার ১৯৪১ সালে। সময়কালের পার্থক্যঃ ১২৯ বছর।
যে অভিন্ন কারণে বিশিষ্ট দুই ব্যক্তির জীবনে একের পর এক ব্যর্থতা এবং ব্যর্থতা থেকে শেষ পর্যন্ত পতন ডেকে এনেছিলঃ বিপুল বিস্তার এবং শীতকাল।


১০. সমাপতনঃ রাজা এবং প্রজা ।
ইতালির মনজার রাজা ছিলেন উমবের্তো I একদিন রাজা তার সহকারী এবং দেহরক্ষীকে নিয়ে এক রেস্তোরায় উপস্থিত হন। রেস্তোরার মালিক খাবারের ফরমাস নেয়ার জন্য টেবিলের সামনে এসে দাড়ালে রাজা লক্ষ করে দেখেন তার এবং রেস্তোরার মালিকের চেহারা , তাদের দুজনের দেহের গঠন , মুখমন্ডল হুবহু একরকম যেমনটি যমজদের বেলায় হয়ে থাকে। উৎসুক রাজা রেস্তোরার মালিকের পরিচয় জানতে আগ্রহী হলে উভয়ের মধ্যে আলাপ আলোচনা , কথোপকথন শুরু হয়ে যায় এবং কথা শেষে যে সকল আশ্চর্যজনক সমাপতন বেরিয়ে আসেঃ
---- উভয়ের জন্ম একই দিনে এবং একই সালে হয়েছিল। ( ১৪ মার্চ ১৮৪৪ সাল )
----উভয়ের জন্মস্থান ছিল একই গ্রামে।
----উভয়ের সহধর্মিনীর নাম ছিল মার্গারিটা।
--- যে দিনটিতে রাজার অভিষেক অর্থাৎ সিংহাসনে আহরণ করেছিলেন সেই দিনে মালিক রেস্তোরাটি উদ্বোধন করেছিলেন।
২৯ শে জুলাই ১৯০০ সালে রাজা একটি জনাকীর্ণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকালে আততায়ীর গুলিতে রেস্তোরার মালিকের মৃত্যুর সংবাদটি জানতে পারেন। রেস্তোরার মালিকের মৃত্যুসংবাদটি রাজাকে ব্যথিত করে । যখনই রাজা তার সমবেদনা প্রকাশ করে যাবেন সেই মহুর্তে এক বিদ্রোহী রাজাকে লক্ষ করে গুলি ছুড়ে। আর তাতেই ঘটনাস্থলে জীবনের প্রদীপ নিভে যায় রাজার।


Blogger Widgets