Pages

নুহ নবীর কিস্তির খোজে




প্রত্নতত্ত্ববিদরা বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থে ও পৌরানিক কাহিনীতে বিভিন্ন স্থানগুলোকে খুজে বের করার প্রয়াস নিয়ে থাকেন। গ্রিক মহাকবি হোমারের ওডিসিতে এভাবে বর্নিত ট্রয় নগরী পূরাকীর্তি অভিযানের মাধ্যমে খুজে বের করা হয়েছে। পবিত্র কোরানে উল্লেখিত শেবার রানী বিলকিসের প্রসাদ কে এভাবে এক প্রত্নতাত্ত্বিক অভিযানে ইথিওপিয়ার আকসুম নগরীতে খুজে পাওয়া গেছে। দাম্ভিক রাজা সাদ্দামের বেহেশত বলে কথিত ইরম নগরীর ধ্বংসাবাশেষ ও আবিস্কার করা হয়েছে।


কয়েক হাজার বছরের পূরানো কাহিনী পৃথিবী পাপে পরিপূর্ন। সৃষ্টিকর্তা সামান্য কিছু নির্বাচিত মানুষ ও পশুপাখি ছাড়া সব কিছু এক প্রলয়ঙ্কারী বন্যায় ধ্বংস করে দেবেন। প্রায় সমস্ত ধর্ম কাহিনী আর অনেক পৌরানিকে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আছে। চলুন দেখি ইসলাম ধর্মে কি বলে-

সূরা হুদ ৪২ থেকে ৪৪ নম্বর আয়াত –

আয়াতে বলা হয়েছে, "পর্বত প্রমাণ তরঙ্গের মধ্যে এ (নৌকা) তাদের নিয়ে বয়ে চললো, নূহ তার পুত্রকে যে (তাদের ডাকে) পৃথক ছিল, ডেকে বললেন, হে বৎস আমাদের সঙ্গে আরোহন কর এবং অবিশ্বাসী কাফেরদের সঙ্গী হয়ো না।"

এবার সূরা হুদের ৪৪ নম্বর আয়াত। এ আয়াতে বলা হয়েছে, অর্থাৎ "(আল্লাহর শাস্তি ও কাফেরদের ধ্বংসের পর) বলা হলো, হে পৃথিবী! তুমি পানি শোষণ করে নাও এবং হে আকাশ তুমি ক্ষান্ত হও,এরপর বন্যা প্রশমিত হলো এবং কার্য সমাপ্ত হলো, নৌকা জুদী পর্বতের উপর স্থির হলো এবং বলা হলো ধ্বংসই সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়ের পরিণাম।"

বাইবেলের জেনেসিসে আছে নোহার কথা

9 ¶ These are the generations of Noah: Noah was a just man 2 Pet. 2.5 and perfect in his generations, and Noah walked with God.
10 And Noah begat three sons, Shem, Ham, and Japheth.
11 ¶ The earth also was corrupt before God; and the earth was filled with violence.
12 And God looked upon the earth, and, behold, it was corrupt; for all flesh had corrupted his way upon the earth.
13 And God said unto Noah, The end of all flesh is come before me; for the earth is filled with violence through them; and, behold, I will destroy them with the earth.
14 Make thee an ark of gopher wood; rooms shalt thou make in the ark, and shalt pitch it within and without with pitch.
15 And this is the fashion which thou shalt make it of: The length of the ark shall be three hundred cubits, the breadth of it fifty cubits, and the height of it thirty cubits.
16 A window shalt thou make to the ark, and in a cubit shalt thou finish it above; and the door of the ark shalt thou set in the side thereof; with lower, second, and third stories shalt thou make it.

রাশিয়ান গোয়েন্দা বিমান নিয়ে আকাশে চক্কর দিচ্ছিল লেফটেনেন্ট রস্কোভিতস্কি। গরম পড়েছে। সকালের সোনারোদে আরারাত পর্বতের চূড়ায় ঝকমক করছে বরফের স্তর। হঠাৎ কী যেন চোখে পড়তেই নড়েচড়ে বসলেন লেফটেনেন্ট। রুটিন চেকআপের জন্য বিমানটা নিয়ে বের হয়েছিলেন তিনি। সন্দেহজনক কিছু দেখতে পেলে সদর দফতরে রিপোর্ট করার কথা। কিন্তু আরারাত পর্বতে যা দেখলেন তাতে বিস্ময়ে তখনই খবর দেয়ার কথা মনেই পড়ল না তার। পাহাড়চূড়ায় আছে বিশাল এক হিমবাহ হ্রদ। সেখানেই পুরনো জাহাজের মতো কিছু একটা চোখে পড়ল তার। বিমান ঘুরিয়ে ফিরিয়ে যতটা সম্ভব কাছে থেকে সেটা দেখার চেষ্টা করলেন রস্কোভিতস্কি। সেটা ১৯১৬ সালের ঘটনা।

তবে খবরটা চাপা রইল না। ছড়িয়ে পড়ল দেশের আনাচে-কানাচে। সবার ধারণা, নুহ নবীর সেই বিখ্যাত জাহাজকে খুঁজে পেয়েছেন লেফটেনেন্ট রস্কোভিতস্কি। যে জাহাজে চড়ে নুহ নবী ও তার সঙ্গীরা মহাপ্লাবনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন। ব্যস। দলে দলে মানুষ এসে হাজির হলো আরারাত পর্বতের গোড়ায়। পাহাড় তন্ন তন্ন করে তারা খুঁজে বের করল সেই জাহাজের ধ্বংসাবশেষ। শুরু হলো ছবি তোলা আর প্রমাণ সংগ্রহের প্রাণান্তকর চেষ্টা। কিন্তু সবকিছু করে ফেলার আগেই রাশিয়ায় শুরু হয়ে গেল বিপ্লব আর গৃহযুদ্ধ। রাশিয়া জুড়ে তখন দারুণ অস্থিরতা। বিপ্লবের উত্তেজনায় তখনকার মতো চাপা পড়ে যায় নুহ নবীর জাহাজের বিষয়টি। বিপ্লবের পর আবারো শুরু হয় খোঁজ।

১৯৫৩ সালে জেফারসন গ্রীন নামে এক এক প্রকৌশলী হেলিকপ্টারে চড়ে আরারত পাহাড়ের ওপর দিয়ে উড়ে যাবার সময় দেখতে পেলেন বড়সড় চৌকো আকৃতির এক বাক্স ঝুলে আছে খাড়া পাহাড়ের কিনারা ঘেষে। তার বেশির ভাগই বরফে আবৃত হয়ে আছে। আবারো লাইম লাইটে চলে আসে নূহ নবীর নৌকা। তিনি কিছু ছবি তুলে আনেন।

১৯৫৫ সালে এক ফরাসী পর্বতারোহী ফার্নান্স নাভারা আরারাত পাহাড়ে উঠতে গিয়ে বহু প্রাচীন কিছু কাঠের টুকরো পান। কালো রঙের ফসিল হয়ে যাওয়া সেই কাঠের টুকরো স্পেনের গবেষনাগারে C-14 টেষ্ট করে জানা যায় প্রায় পাঁচ হাজার বছরের পূরানো

১৯৭৪ সালে যুক্তরাষ্টের স্পেস কমিটির সদস্য ফ্রাঙ্ক মস জানালেন উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত আরারত পর্বত মালায় যে নৌকার আকৃতি দেখা যায় সম্ভবত ওটাই নূহ (অঃ) নৌকা।

তুরস্ক সরকারের নিরাপত্তার কড়াকড়ি আর রাশিয়ানদের হুমকি-ধমকিতেও খোঁজার গতি কমে না। এখন পর্যন্ত সেই জাহাজ নিয়ে কৌতূহল আর আগ্রহ বজায় আছে আগের মতোই। ধর্মগ্রন্থগুলোর যে জাহাজে চড়ে নুহ নবী মহাপ্লাবনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন সেটি ছিল কাঠ দিয়ে তৈরি করা বিশাল একটি জলযান।

শোনা যায়, কম করে হলেও এটির দৈর্ঘ্য ছিল ৪৫০ ফুট ও প্রস্থে ৭৫ ফুট। ভেতরের ডেকসহ এটির উচ্চতা ছিল ৪৫ ফুট। বিংশ শতাব্দীর আগে নির্মিত সবচেয়ে বড় জলযান হিসেবে স্বীকৃত এই জলযান। এর নির্মাণকৌশল আর নিরাপত্তার বিষয়টি ছিল সময়ের তুলনায় অনেক আধুনিক। শোনা যায়, মহাপ্লাবনের শেষে আরারাত কিংবা জুদাই পর্বতের আশপাশে কোথাও নোঙ্গর ফেলেছিল সেই জাহাজ। তবে এদিক থেকে আরারাত পর্বতের পাল্লাই বেশি ভারি। গত দেড়শ’ বছরে অসংখ্য মানুষ দাবি করেন যে, তারা নুহ নবীর জাহাজ খুজে পেয়েছেন। কিন্তু কেউই আজ পর্যন্ত উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে পারেনি। বিজ্ঞানসম্মত কোনো প্রমাণ, ছবি বা আলামত এনে দেখাতে পারেনি কেউ। মাঝখান থেকে গুজবের ডালপালা ছড়িয়েছে আরো বেশি করে।

১৯৭৬ সালে হলিউডি সিনেমা ‘ইন সার্চ অব নোহাস আর্ক’ মুক্তি পায়। এটি মুক্তি পাওয়ার পর আবার পৃথিবীজুড়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ে, নুহ নবীর জাহাজের খোঁজ মিলেছে। গুজবের মূল উৎস হলো একটি ফটোগ্রাফ। হুজুগে মানুষরা সেটা নিয়েই ব্যাপক হইচই করতে থাকে। পরে অবশ্য দেখা যায়, ছবিটি একটি বিচিত্রদর্শন পাথর ছাড়া আর কিছু নয়। এরকম ঘটনা শুধু একবার নয়, অসংখ্যবার ঘটেছে। সামান্য সূত্র পেয়ে সেটাকে যাচাই না করেই মানুষ হুজুগে ভেসেছে। খ্রিস্টপূর্ব যুগ থেকেই চলছে এই খোঁজার পালা। তবে আজ পর্যন্ত মীমাংসা হয়নি এই রহস্যের। অসংখ্য অভিযাত্রী, পর্যটক আর প্রত্নতত্ত্ববিদের ধারণা, সেই নুহ নবীর জাহাজ আজো লুকিয়ে আছে আরারাত পর্বতের গহিন কোনো বরফের স্তরের আড়ালে। আর কে জানে কোন একদিন হয়ত সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় সত্য উন্মোচিত হবে

সূত্রঃ ইন্টারনেট এবং বিভিন্ন পত্রিকার সারাংশ
http://www.throneofgod.com/
http://en.wikipedia.org/wiki/Noah's_Ark


 

U.f.o: রহস্যের আবডালে ঘেরা যে বস্তু।।





লক্ষ লক্ষ বছর ধরে যে প্রশ্ন মানব মনে উকি দিয়ে গেছে বার বার তা হল-

এই মহা বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে আমরা কি একা?

উত্তর মেলা ভারি কঠিন। শুধুমাত্র আমাদের গ্যালাক্সি মিল্কিওয়ে তেই নক্ষত্র এর সংখ্যা প্রায় ৪০০ বিলিয়ন। আর গ্যালাক্সি তো মহাবিশ্বে বিলিয়ন এর পর বিলিয়ন। বিলিয়ন বিলিয়ন গ্যালাক্সি এর বিলিয়ন বিলিয়ন নক্ষত্রের যদি প্রতি বিলিয়ন এ একটিতেও গ্রহ থাকে তবুও গ্রহের সংখ্যা হিসাবের বাইরে। ১৯৬১ সালে ড্রেক তার সমীকরণে দেখিয়েছেন যে কমপক্ষে ১০০০০ গ্রহে প্রানের অস্তিত্ব থাকা সম্ভব!!


অন্য গ্রহে প্রানের অস্তিত্ব আছে কি নেই এটার উত্তর তো একদিনেই জানা যায়না। মানুষ হাজার হাজার বছর চেষ্টা করেছে কিন্তু এখনো কোন সিদ্ধান্তে পৌছাতে পারেনি। হয়তো আরও হাজার বছর লাগবে। অথবা এই রহস্য কোনদিনও ভেদ হবেনা। এটা নিয়ে জল্পনা কল্পনার তাই আর শেষ নেই। তবে এই রহস্য আরও ঘনীভূত করেছে যে বস্তু তার নাম ইউ.এফ.ও (U.f.o)। পৃথিবীর আকাশে মাঝে মাঝেই দেখতে পাওয়া উড়ন্ত এই অদ্ভুত বস্তু এর ব্যাখাও মানুষের কাছে রয়ে গেছে অধরা।


কি এই ইউ.এফ.ও?

ইউ.এফ.ও (U.f.o) এর ফুল ফর্ম হচ্ছে -Unidentified Flying Object। অনেকে অবশ্য ফ্লাইং সসার ও বলে থাকেন। ফ্লাইং সসার বলার পিছে কারন হচ্ছে- অধিকাংশ ইউ.এফ.ও, যা দেখা গেছে বলে দাবী করা হয়, তা অনেকটা সসার বা পিরিচ আকৃতির। তবে ইউ.এফ.ও যে শুধুই সসার আকৃতির, তা কিন্তু নয়। অনেক ইউ.এফ.ও গোলক, অনেক গুলো সিগার আকৃতির, আবার কেউ কেউ বলে পিরামিড এর মতো ইউ.এফ.ও ও নাকি দেখেছেন তারা।

ইউ.এফ.ও এর অস্তিত্ব কি আসলেই আছে নাকি এটি মানব মস্তিস্কের উর্বর কল্পনা?

মানুষ কল্পনাপ্রবন, একথা মিথ্যা নয়। তবে ইউ এফ ও পুরোটাই মানুষের কল্পনা প্রসুত জিনিস, এটা বলাটা বোধ হয় অনেক কঠিন। ইউ.এফ.ও দর্শনের কমপক্ষে হাজারখানেক, বা তার ও বেশি দাবী ব্যাপারটাকে অনেক বেশি প্রতিষ্ঠিত করে গেছে দিনের পর দিন। পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন সময়ে দেখা যাওয়া এই বস্তুরা তাই অবলোকনকারীদের মনে বদ্ধমুল ধারনা জন্মিয়েই ফেলেছে যে পৃথিবীর বাইরে অবশ্যই প্রানের অস্তিত্ব আছে এবং তারা বেশ বুদ্ধিমান।


ইউ.এফ.ও দর্শনের প্রথম ঘটনাঃ

প্রাচীন মিশরের অনেক লিপিতেই এই উড়ন্ত চাকতির উল্লেখ আছে। তাদের মধ্যে একটি বেশ উল্লেখযোগ্য , সেটি হচ্ছে মিশরের অষ্টাদশ রাজবংশের তৃতীয় ফারাও টুথমোজ এর একটি লিপি। ফারাও শীতের তৃতীয় মাস, এবং দিবসের ষষ্ঠ ঘণ্টায় আকাশে কিছু অদ্ভুত দর্শনের উড়ন্ত অগ্নি গোলক দেখতে পান বলে তা লিপিবদ্ধ করে রাখার নির্দেশ দেন। এটি খ্রিস্টের জন্মের ও প্রায় ১৫০০ বছর পূর্বের ইতিহাস।



এর পরেও বহুবার ইউ.এফ.ও এর দর্শনের কথা শোনা যায়। তবে বর্তমান পৃথিবীর ইতিহাস অনুসারে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ইউ.এফ.ও দর্শন এর তারিখ ১৫৬১ সালের ১৪ ই এপ্রিল। স্থান- নুরেমবারগ, জার্মানি।

অতীতে পরে যাই, তার আগে গত ২০-৩০ বছরের কিছু কাহিনী বলি-


হোয়াইটভিল, ভার্জিনিয়া এর ঘটনাঃ



১৯৮৭ সাল।হোয়াইটভিল, ভার্জিনিয়া এর একটি ছোট ,শান্ত , ছিমছাম শহর। WYVE নামের একটি রেডিও স্টেশনে কাজ করেন ড্যানি গরডন নামের এক যুবক। প্রতি রাতের মতো রেডিও বার্তা চেক করতে যেয়ে তিনি বেশ কিছু অস্বাভাবিক রিপোর্ট পান। এই রিপোর্ট কারীদের মধ্যে তিন জন ছিলেন আবার শেরিফ। তারা সবাই হোয়াইটভিল এর আকাশে একগুচ্ছ অদ্ভুত আলো দেখতে পান বলে দাবী করেন। ড্যানি প্রথমে এটি হেসে উড়িয়ে দিলেও মুহূর্তের মধ্যেই হোয়াইটভিল থেকে আরও অনেক তাদের তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন যে এটি তাদের চোখে পড়েছে।

ড্যানি এটিকে ভার্জিনিয়া এয়ার বেস এর কোন এক্সপেরিমেন্ট ভাবলেও তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানিয়ে দেন , সে রাতে এমন কিছু পরীক্ষা করা হয়নি।

ব্যাপারটা ধীরে ধীরে সবার মনেই একটা খটকা তৈরি করে। এর প্রায় দু সপ্তাহ পর, ড্যানি এবং তার বন্ধু রজার হল দুজনেই খুব কাছে থেকে ইউ.এফ.ও দেখতে পান বলে জানান।

"আমরা তখন কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলাম। হঠাৎ করেই গাড়ির বা দিকে আমার চোখ গেলো এবং আমি ভুমির সরলরেখা বরাবর একটি খুব ই অস্বাভাবিক বস্তু লক্ষ্য করলাম। সাথে সাথেই গাড়িটা ডান পাশে রেখে আমরা লাফ দিয়ে গাড়ি থেকে বের হয়ে আসি। আমরা দেখতে পাই , যে আকাশযানটি আমাদের দিকে আসছে , সেটি আকৃতিতে বিশাল এবং তার মাথার দিকে একটি ডোম আছে এবং কোন পাখা অনুপস্থিত। আকাশ যানটির ডান দিক থেকে বিভিন্ন ধরনের উজ্জ্বল আলো বিচ্ছুরিত হচ্ছিল, সেটি যত দ্রুতই আমাদের দিকে ধাবিত হচ্ছিল,
ঠিক ততো দ্রুতই আমাদের থেকে দূরে চলে গেলো, এবং একটা সময় মিলিয়ে গেলো।"


এ ঘটনার তিন মাসের মধ্যেই প্রায় শতাধিক লোক ইউ.এফ.ও গুলোকে বার বার দেখতে পান। কয়েকটি ছবি ও তোলা হয় যার মধ্যে এগুলো উল্লেখযোগ্য





হোয়াইটভিল এর এই অদ্ভুত ঘটনার কোন ব্যাখাই পায়নি হোয়াইটভিলবাসী।



মেক্সিকো এর ঘটনাঃ

১৯৯১ সালের পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের কথা বোধহয় সবারই মনে আছে। সমস্ত পৃথিবী যেন সূর্যগ্রহণ অবলোকন উৎসবে মেতে উঠেছিলো। মেক্সিকো ও ব্যাতিক্রম ছিলনা। কিন্তু কেউ তখন ও ভাবেনি তাদের পুরো দেশকেই এই দিনটা বদলে দিবে ইউ.এফ.ও এর হিস্টিরিয়াতে।

সেই দুপুরে, Guillermo Arragin, নামের একজন টেলিভিশন এক্সিকিউটিভ ছাদের উপরে বসে সূর্যগ্রহণের ভিডিও ধারন করছিলেন। জিনিসটা ঠিক তখনই তার দৃষ্টিগোচর হয়।



Jaime Maussan তখন কাজ করছিলেন Arragin, এর সাথে। তারা পরবর্তীতে সূর্যগ্রহণের ভিডিও টেপটি মেক্সিকান টিভি চ্যানেলে সম্প্রচার করেন, সূর্যগ্রহণের ৮ দিন পরে। এই টেপ টির সাথে তারা ইউ.এফ.ও এর ফুটেজটিও সম্প্রচার করে। মুহূর্তের মধ্যে তারা ৪০০০০ ফোন পান প্রায় একই সাথে। এটা এতোটাই দ্রুত ছিল যে সমস্ত নেটওয়ার্ক বিকল হয়ে যায়। বহু প্রত্যক্ষদর্শী তাদের জানায় , যে তারা ঠিক একই বস্তু দেখেছেন মেক্সিকো এর আকাশে। পরবর্তীতে তারা মেক্সিকান দের ধারণকৃত কমপক্ষে ১৫ টি ভিডিও পান যার সাথে Arragin, এর ভিডিও এর কোন পার্থক্য নেই।




২ মাস পরে ঠিক একই রকম ভাবে আরও অনেক গুলো ইউ.এফ.ও দেখা যায় মেক্সিকোর আকাশে।



ভিডিও টি দেখতে পারেন-




ফিনিক্স রহস্যঃ

মার্চ ১৩, ১৯৯৭ এর রাত। অ্যারিজোনা এর অধিবাসী Michael Krzyston এর অপটু লেন্স এ ধরা পড়লো "v" আকৃতির এক অদ্ভুত আলোক গুচ্ছ।



শুধু Krzyston ই নন, অ্যারিজোনার কমপক্ষে হাজার খানেক মানুষ সে রাতে এক ই আলো দেখেছেন এবং এগুলো যে ইউ.এফ.ও, এ সম্পর্কে তারা প্রায় নিঃসন্দেহ ।





রসওয়েল এর অমীমাংসিত রহস্যঃ

এটি ইউ.এফ.ও এর সাথে সম্পর্কযুক্ত খুব বেশি আলোচিত একটা ঘটনা।

ঘটনার সুত্রপাত ১৯৪৭ সালে একটি বজ্রপাত সহ ঝড়ের মাধ্যমে। 'ম্যাক' নামের এক ভদ্রলোক তখন তার ঘরে বসেই ঝড় দেখছিলেন। হঠাৎ তার বাড়ির সংলগ্ন বড় ক্ষেতে তিনি বেশ বড়সড় এবং অস্বাভাবিক এক বজ্রপাতের শব্দ পান।



পরেরদিন তিনি যখন তার ছেলেকে নিয়ে তার ক্ষেত এর ক্ষয় ক্ষতি দেখতে গেলেন তখন অবাক হয়ে দেখলেন, বজ্রপাতের কোন চিহ্নই নেই। বরং সারা মাঠ জুড়ে পড়ে রয়েছে কোন কিছুর ধ্বংসাবশেষ। প্রায় তিন মাইলের ও বেশি লম্বা এবং দুই তিনশত ফুট প্রস্থ জুড়ে ধ্বংসাবশেষ গুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। ম্যাক এর ভাষ্য অনুসারে, উদ্ধারকৃত টুকরো গুলিকে এককথায় ধাতু বলা যায়না। টুকরোগুলি ছিল বেশ মজবুত, এবং প্লাস্টিক এর মতো হালকা অথচ প্লাস্টিক নয়। দুই তিন ফুট লম্বা টুকরো গুলিও খবরের কাগজের মতোই হালকা ছিল, বলেন ম্যাক। তবে এই টুকরো গুলোকে তিনি কাটতে পারেননি এবং আগুনেও পোড়াতে পারেন নি বলে জানান তিনি।



পরেরদিন রসওয়েল আর্মি এয়ার বেস এ ঘটনাটি জানানো হয়। সেদিন বিকেলেই আর্মি ইন্টেলিজেন্স এর কিছু কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে আসেন। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন মেজর জেসি মারসেল যার উপরে এই ঘটনাটি তদন্তের মুল দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো। তিনিও টুকরো গুলি দেখে হতভম্ব হয়ে যান। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বলে গেছেন যে এটি তার জীবনে দেখা সবচেয়ে বেশি অস্বাভাবিক ঘটনা। তিনিও টুকরো গুলিকে আগুনে পোড়াতে পারেন নি। তিনি দৃঢ় ভাবেই দাবী করেন, এটি কোন ভাবেই এয়ার বেলুন, অথবা পৃথিবীতে তৈরি কোন আকাশ যান এর ধ্বংসাবশেষ নয়। তার কাছে সবচেয়ে আশ্চর্য লেগেছে যে টুকরোটি সেটি একটি ছোট এল বিম এর টুকরো যেটি এর উপরে কিছু অদ্ভুত চিহ্ন এবং অক্ষর খোদাই করা ছিল। এটা থেকে তার মনে বিশ্বাস আরও প্রবল হয় যে এটি পৃথিবীর বাইরের কোন একটা স্থানে তৈরি কোন আকাশযান।



খবরটা নিউজপেপারে চলে আসে মুহূর্তের মাঝেই। ঠিক ওইদিন সক্করো, মেক্সিকো থেকেও ইউ.এফ.ও দর্শনের কিছু রিপোর্ট পাওয়া যায়। এই ঘটনাগুলি রসওয়েল এ বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে।



তবে রসওয়েল এয়ার বেস কোন এক অজ্ঞাত কারনে খবরটা ধামাচাপা দেওয়ার প্রানপন চেষ্টা করে। গ্লেন ডেনিস নামের ২২ বছরের এক ছেলেও ম্যাক এর মাঠ টি পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। পরবর্তীতে তাকেও মিলিটারি ক্যাম্প এ নিয়ে যাওয়া হয় এবং টাকে বলা হয়, এটি নিয়ে আর কোন রকম উচ্চ্যবাচ্চ্য না করার জন্য। এছাড়া ঠিক ওই সময়ে একজন নার্স দাবী করেন, তাকে এয়ার বেস ক্যাম্প এ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তিনটি বডি অটোপসি করার জন্য। তিনি বলেন, তিনটি প্রাণীর কোনটি ই পৃথিবীর নয় এ ব্যাপারে তিনি শতভাগ নিশ্চিত। তিনি প্রানীগুলির বর্ণনা দেন এভাবে-

"তারা আমাকে ডেকেছিল partial autopsy এর জন্য। তাদের ওখানে একটা বড় ক্রাশ ব্যাগ ছিল যেটির মধ্যে দোমড়ানো মোচড়ানো খুব ছোট দুটি বডি ছিল যাদের মাথা ছিল দেহের তুলনায় অনেক বড়। তাদের কোন কান ছিল না, বরং তাদের কানের দুটি ক্যানাল ছিল। তাদের বিবর ছিল দুটি ,এবং তাতে কোন দাত ছিলনা।"



পরবর্তীতে গ্লেন অবশ্য নার্সটিকে অনেক খুজতে চেষ্টা করেছিল , যদিও তাকে আর কখনোই খুজে পাওয়া যায়নি।

এটি প্রমানিত হলে এয়ার বেস মিলিটারি তাদের বিবৃতি দান করে বলেন, তাদের প্রাপ্ত প্রাণীগুলো আসলে একটি এয়ার বেলুনের ডামি ছিল। যদিও তাতে সন্দেহ দূরীভূত না হয়ে উল্টো সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়।



টেক্সাস ইউ.এফ.ওঃ

ডিসেম্বর এর ২৯ তারিখ, ১৯৮০ সাল। ডিনার শেষে গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলেন বিটি ক্যাশ, ভিকি ল্যান্ড্রাম ও তাদের ৭ বছরের নাতি কলবি। টেক্সাসে -ডেয়টন এর কাছাকাছি স্টেট রোড থেকে তারা যখন যাচ্ছিলেন তখন রাত প্রায় ৯ টা। ঠিক এসময় আকাশে খুব উজ্জ্বল এক আলো দেখতে পান তিনজনই। তাদের গাড়ি অগ্রসর হচ্ছিল এবং এ অবস্থাতেই গাছের ফাক থেকে তারা বস্তুটিকে দেখতে পাচ্ছিলেন। বিটি ক্যাশ তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন এভাবেই-

"আমরা তখনো জানতাম না এটা কি, শুধু এটাই বুঝেছিলাম যে এটি প্লেন নয়। আকাশ তখন অত্যাধিক উজ্জ্বল হয়ে পড়েছিলো। একটা সময় ভিকি এর চিৎকারে আমি গাড়ি থামাই এবং বস্তুটিকে দেখার জন্য দরজা খুলে বের হয়ে আসি। বের হওয়ার সাথে সাথেই আমি প্রচণ্ড তাপ অনুভব করি এবং যান টিকে ভালভাবে দেখতে পাই। এটি ছিল অনেকটা ডায়মন্ড এর আকৃতির, যেটার নিচ থেকে প্রচণ্ড ভাবে তাপ নির্গত হচ্ছিল। মুহূর্তের মাঝে আমি পালাতে চাইলাম ওই জায়গা ছেড়ে। গাড়ির হ্যান্ডেল এ যখন হাত দিলাম তখন সেটি পুরোপুরি তপ্ত একটা ধাতু। আমার শুধু মনে হচ্ছিল , আমরা এখান থেকে জীবিত ফেরত যেতে পারবো তো?




ভিকি বলেন -
এর কিছুক্ষনের মধ্যেই বহু হেলিকপ্টার জায়গাটিকে কভার করে ফেলে

পরেরদিন তিনজনই মারাত্মক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাদের হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তাররা জানান, তারা রেডিয়েশন পয়জনিং এ আক্রান্ত হয়েছেন।



পরবর্তীতে ক্যাশ এবং ভিকি সরকারের কাছ থেকে সদুত্তর পাওয়ার আশায় অনেক চেষ্টা করেও সফল হতে পারেন নি। এখানেও টেক্সাস সরকার ধামাচাপা দিয়ে ফেলে ব্যাপারটিকে। পুড়ে যাওয়া রাস্তার ওই অংশটুকু অতি দ্রুত খুড়ে নতুন করে রাস্তা করে দেওয়া হয় যাতে ওটা লোকচক্ষুর দৃষ্টি গোচর না হয়।



ভিকি এবং ক্যাশ আজীবন প্রশ্ন করে গেছেন এই রহস্যজনক ঘটনার, কিন্তু তাদের এই রহস্যের কোন সমাধান দিতে সরকার পক্ষের কেউই এগিয়ে আসেনি।


পানিতেও ইউ.এফ.ওঃ

ইউ.এফ.ও যে শুধু পৃথিবীর আকাশে কিংবা মাটিতে দেখা গেছে , তা কিন্তু নয়। বরং পানিতেও ইউ এফ ও দর্শনের নজির মেলে। বিমিনির উত্তরে আইজাক লাইট আর মিয়ামি এর মধ্যেখানে গালফ স্ট্রিমের জলের তলায় বার বার দেখা গেছে সিগার আকৃতির ইউ.এফ.ও। ডেলমনিকো নামের এক ক্যাপ্টেন পানির নিচে এই সাদাটে ধূসর বস্তুটি দেখতে পান। তার দাবী, এটি কোনভাবে পানিতে আলোড়ন তৈরি না করে চলাফেরা করছিল।

পুয়ের্টোরিকো এর কাছের সাগরেও ইউ.এফ.ও এর দেখা মেলে একবার। মার্কিন নৌবাহিনীর কোন একটা মহড়া চলাকালীন সময়ে তাতে অংশগ্রহণকারী সকল জাহাজ এবং সাবমেরিন এই জলের নিচে ইউ.এফ.ও টা দেখতে পান। সাবমেরিন একে ধাওয়া করলেও বস্তুটি নিমিষেই সাতাশ হাজার ফুট গভীর পর্যন্ত নেমে ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছিলো। এর গতিও ছিল অস্বাভাবিক এবং আলোড়ন বিহীন।

এবার ইউ.এফ.ও সংক্রান্ত নাসা এর কিছু ব্যাখাহীন ঘটনার একটি ভিডিও-




ইউ.এফ.ও এর কিছু ছবিঃ

যদিও ছবি ব্লগ আলাদা করেই দিয়ে দিবো ইউ.এফ.ও এর জন্য, তবু এখানে বেশ কিছু ছবি দিলাম-


১৯৫২, নিউ জার্সি।


১৯৮৭, অরোরা, টেক্সাস।










ইউ.এফ.ও দেখা যাওয়ার কিছু স্থান ও বছরঃ

1883-08-12 - জাকাটেকাস ,মেক্সিকো ।
1886-10-24- মারাকাইবো , ভেনেজুয়েলা।
1897-04-17- অরোরা , টেক্সাস।
1908-06-30- পডকামেনায়া টুনগুস্কা নদী , রাশিয়া।
1917-08-13, 09-13, 10-13 - ফাতিমা , পর্তুগাল।
1926- হিমালয় ,নেপাল।
1942- হোপেহ , চীন।
1942-02-24- লস অ্যাঞ্জেলস , ক্যালিফোর্নিয়া।
1946 - স্ক্যান্ডিনেভিয়া।
1946-05-18 - এঞ্জেলহোম মিউনিসিপালিটি , সুইডেন।
1947-06-21 - ওয়াশিংটন , ইউ এস।
1947-06-24-ওয়াশিংটন , ইউ এস।
1947-07-08 - রসওয়েল ,ইউ এস।
1947-10- ফিনিক্স , অ্যারিজোনা।
1948-01-07- কেন্টাকি , ইউ এস।
1948-07-24- আলাবামা , ইউ এস।
1948-10-01- নর্থ ডাকোটা , ইউ এস।
1950-03-22- নিউ মেক্সিকো , ইউ এস।
1950-05-11- ম্যাকমিনভেল।
1951-08-25- লুব্বক , টেক্সাস।
1952-07-13- ওয়াশিংটন , ইউ এস।
1952-07-24 - নেভাডা।
1952-09-12- ফ্লাটউডস, পশ্চিম ভার্জিনিয়া।
1953-05-21- প্রেসকট, ভার্জিনিয়া।
1953-08-12- বিসমার্ক , ডাকোটা।
1953-11-23- লেক সুপিরিয়র , কানাডা।
1955-08-21-কেন্টাকি।
1957-05-20- পূর্ব আংগ্লিয়া, যুক্তরাজ্য।
1957-11-02- লেভেলান্ড , টেক্সাস।
1959- সোভিয়েত ইউনিয়ন।
1959-06-26&27- পপুয়া নিউগিনি।
1961-09-19- নিউ হ্যাম্পশায়ার।
1964-04-24- সরক্কো , নিউ মেক্সিকো।
1964-09-04-সিস্কো গ্রুভ , ক্যালিফোর্নিয়া।
1965-12-01- সান মিগুয়েল , আর্জেন্টিনা।
1965-12-09- পেন্সিলভেনিয়া।
1966-01-11-ওয়ানাক , নিউ জার্সি।
1966-04-06- ক্লেয়টন , অস্ট্রেলিয়া।
1966-04-17- ওহাইও , ইউ এস।
1966-08-25- মিনোট , ডাকোটা।
1966-10-11- এলিজাবেথ , নিউ জার্সি।
1967-03-05- মিনোট , ডাকোটা।
1967-03-20-মাল্ম স্ট্রম, ইউ এস।
1967-05-20- ফ্যালকন লেক , কানাডা।
1967-08-29- কুসাক , ফ্রান্স।
1967-09-01- সেন্ট লুইস ভ্যালি, কলোরাডো।
1967-10-04- শ্যাগ হারবার, কানাডা।
1967-12-03-অ্যাশল্যান্ড ,নেবরাস্কা।
1969-01-01- প্রিন্স জর্জ , কলোম্বিয়া।
1971-09-04- অ্যারেনাল , কোস্টারিকা।
1973-10-11- মিসিসিপি , ইউ এস।
1974-01-23- নর্থ ওয়েলস যুক্তরাজ্য।
1975-01-12-নর্থ বারজেন , নিউ জার্সি।
1976-06-22-ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ, স্পেন।
1976-09-19- তেহরান , ইরান।
1977-01-06- মন্ট্রিল , কুইবেক।
1978-05-10-এমিলসিন , পোল্যান্ড।
1978-10-21-ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া।
1978-12-21- নিউজিল্যান্ড।
1979-08-27- মিনেসোটা।
1979-11-09- লিভিংস্টোন ,স্কটল্যান্ড।
1979-11-11-ভ্যালেন্সিয়া ,স্পেন।
1980-12-28-সাফফোল্ক,ইংল্যান্ড।
1980-12-29-নিউ ক্যানি , টেক্সাস।
1986-11-17-আলাস্কা।
1990-03-30- ওয়ালোনিয়া, বেলজিয়াম।
1990-11-07-মন্ট্রিল , কুইবেক।
1991-04-21-লন্ডন , ইংল্যান্ড।
1991-09-15- স্পেস শাটল ডিসকভারি , মহাকাশ।
1993-08-08- ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া।
1996-01-20- মিনাস জেরাইস, ব্রাজিল।
1996-12-02-স্পেস শাটল ডিসকভারি , মহাকাশ।
1997-03-13-ফিনিক্স ,অ্যারিজোনা।
1997-08-06- মেক্সিকো সিটি।
2001-03-19-স্পেস শাটল ডিসকভারি , অরবিট।
2001-07-15-নিউ জার্সি।
2005-04-27 -ওয়াশিংটন , ইউ এস।
2007-02-02- লন্ডন , ইংল্যান্ড।
2007-02-16-কালিনিনগ্রাদ, রাশিয়া।
2007-03-03- নিউ দিল্লী , ইন্ডিয়া।
2007-03-10 -ওহাইও
2007-05-02- সাট্টন , ইংল্যান্ড।
2007-05-12 -আয়ারল্যান্ড।
2007-05-27 -কানাডা
2007-05-28- বাঙ্গালোর, ইন্ডিয়া।
2007-09-25-কোডিয়াক , আলাস্কা।
2007-10-30 -কলকাতা , ইন্ডিয়া।
2007-11-08- ল্যারনাকা, সাইপ্রাস।
2008-01-01-সান ডিয়েগো
2008-01-08 to 2008-02-09- স্টিফেনভিল, টেক্সাস, ডাবলিন।
2008-05 to 2008-09- ইস্তানবুল , তুরস্ক।
2008-06-20- যুক্তরাজ্য।
2008-06-21- মস্কো , রাশিয়া।
2008-12-10 -জাগরিব, ক্রোয়েশিয়া।
2009-05-31- কলকাতা , ইন্ডিয়া।
2009- নেভাডা , মেক্সিকো সিটি।
2009-08-16- উরাল , রাশিয়া।
2009-10-20- ফ্লোরিডা, ইউ এস।
2009-12-09- ফিনমার্ক, নরওয়ে এবং সুইডেন।
2010-05 to 2010-12- ইস্তানবুল , তুরস্ক।
2010-07-09 -হেজিয়াং, চীন।
2010-10-13- চেলসি , নিউ ইয়র্ক।
2011-01-26- কলকাতা, পশ্চিম বাংলা।
2011-02-20- ভ্যাঙ্কুভার।
2011-03-28- কলোরাডো।
2011-05-16- লি'স সামিট , মিসিসিপি।


সর্বশেষঃ 26-06-2011 অর্থাৎ এই মাসের ২৬ তারিখ-সিয়াটল, ওয়াশিংটন।




শেষকথাঃ

অনেকে বলেন ইউ.এফ.ও সত্যিই আনাগোনা করে এই গ্রহটিতে। অনেকে বলেন- স্রেফ বুজরুকি। আমি বলি- রহস্যই ভালো। পৃথিবীটা অনেক অদ্ভুত। রহস্য তাকে প্রতিনিয়ত ঘিরে রাখে বলেই তার সৌন্দর্য এতো বেশি। ইউ.এফ.ও কে নিয়ে তাই কিছু রহস্য চিরকাল বেচে থাকুক মানুষের মনে। এতো বড় বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড, তার রহস্যটাও বড় না হলে ঠিক মানায় না।


        মুল লেখা http://www.somewhereinblog.net/blog/incognitorulz/29404669




http://www.somewhereinblog.net

বিশ্ব কাঁপানো ২০টি ঘটনা.....যার আসল সত্য কখনোই জানা যাবে না।

September 11, 2001 Twin towers attack

বহুত পুরনো ক্যাচাল এটা। ২০০১সালের ১১ই সেপ্টেম্বর আমেরিকার টুইন টাওয়ারে একটি ভয়াবহ হামলা হয়। বিশ্ব টেররিস্ট দল ‘আল-কায়দা’ ছিলো এই হামলার জন্য দায়ী। অভিনব ছিলো সেই হামলা। ২টি যাত্রীবাহী প্লেন আছড়ে পড়ে টুইন টাওয়ারের ২টি টাওয়ারে। কিছুক্ষণ পর বিশাল দুটি ভবন একবারে ধূলোয় মিশে যায়। প্রায় ৩৫০০মানুষ হতাহত হয়েছিলো সেই হামলায়।
এর আসল সত্যি বের হয়েছিলো কয়েকটি। প্রধান ২টি হল......
১. আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এবং গোয়েন্দা সংস্হারা আগে থেকেই জানতো এই হামলার কথা। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে নিজের আধিপত্য বিছানোর এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চায়নি তারা। তাই চুপ করে থাকে সবাই হামলার আগে।
২. এই হামলা আমেরিকা ও ইজরায়েলীদের মিলিতভাবে করা। কারণ অনেক প্রতক্ষ্যদর্শীরাই জানিয়েছিলেন বিমান ২টি ভবনে আছড়ে পড়ার সময় এবং ভবন ২টি ভেঙ্গে পড়ার আগে তারা সেখান থেকে প্রচন্ড বিস্ফোরনের শব্দ শুনেছিলেন। আবার ভবন ২টির যে আদলে নির্মিত তা এভাবে এবং মূহুর্তে একদম মাটির সাথে মিশে যাওয়া একেবারেই অসম্ভব। যদি প্রচন্ড ধরণের বিস্ফোরণ ঘটানো হয় এই ভবনে তাহলেই সেটি সম্ভব। কারণ আবারও সেই মধ্যপ্রাচ্য।

Assassination of president John F Kennedy

আমেরিকার ৩৫তম সবার প্রিয় প্রেসিডেন্ট JFK কে ১৯৬৩সালের ২২শে নভেম্বর ডালাসে গুলি করে মেরে ফেলা হয়। পরপর ৩টি গুলি করা হয় তাকে। ঘাতক হলো Lee Harvey Oswald। তাকে ধরাও হয়। কিন্তু কয়েকদিন পরেই ঘাতককে আদালত প্রাঙ্গনে সবার সামনে গুলি করে মেরে ফেলা হয়।
ধারণা করা হয় এটাও আমেরিকার নিজেদের গোয়েন্দা সংস্হা এবং উচ্চ পর্যায়ের লোকদের কাজ। নাহলে দিনেদুপুরে আমেরিকার মতো দেশের প্রেসিডেন্টকে এভাবে গুলি করে মেরে ফেলা একেবারেই অসম্ভব কাজ। এর আরো কয়েকটি যুক্তি......
১. প্রেসিডেন্টকে গুলি করে মারার পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরই শুরু হয় লাশকে নিয়ে এক নজিরবিহীন গোপনীয়তা। কারণ কি??? আবার তদন্ত কমিটি যখন এই হত্যার রিপোর্ট দেয় কেন সেই রিপোর্টে এত মিথ্যা তথ্য ও গড়মিল দেখা গেলো??
২. প্রেসিডেন্টকে হত্যা করার জন্য হামলা হবে এরকম কয়েকটি গুজব কয়েকদিন ধরেই বাতাসে ভাসছিলো। তাহলে উনাকে সেইদিন কেন এত কম নিরাপত্তার মাঝে রাখা হলো ??
৩. সেই ঘটনার সাক্ষী সবাই বলছেন তারা সবাই ৩টি নয় বরং ৪টি গুলির শব্দ শুনেছিলেন এবং যে গুলিটিতে প্রেসিডেন্টের মৃত্যু হয় সেটি এসেছিলো অন্য জায়গা থেকে। কেন তাহলে সেই সাক্ষীদের এই দাবীর কোন তদন্ত না করেই সরকারী সংস্হাগুলো আষাড়ে গল্প বলে বেড়াচ্ছে???

Flying saucer crashed at Roswell

সময় ১৯৪৭ সাল। স্হান আমেরিকার নিউ মেক্সিকোর Roswell। হঠাৎ প্রচন্ডবেগে গোল চাকতির মতো একটি বস্তু আকাশ থেকে সেখানে বিকট শব্দে আছড়ে পড়লো। সেই জায়গাটির প্রচুর মানুষ সেই দৃশ্য নিজ চোখে দেখেছে। সবাই ছুটে গেলো সেখানে। কিন্তু আগুনের প্রচন্ড তাপ ফুলকির মতো বের হওয়ার কারণে কাছে ঘেষতে পারছিলো না কেউই। কিছুক্ষণ বাদেই বিরাট আর্মির দল এসে জায়গাটি ঘিরে ফেললো। আর্মির একজন উচ্চপদস্হ কর্মকর্তা শুধু সাংবাদিকদের জানিয়ে গেলো যে বিরাট চাকতির মতো একটি বস্তু আকাশ থেকে পড়েছে। যেন কোন আকাশযান। বাকিটা পরে জাতে পারবেন। পরেরদিন সব পেপারেও এর খবর ছাপা হলো। তাহলে কি এটা UFO !! Alienরা তাহলেই আসলেই পৃথিবীতে চলে এসেছে!!! কিন্তু কয়েকঘন্টা বাদেই শুরু হলো সরকারদের ধোকাবাজী। ঘন্টায় ঘন্টায় তারা নতুন করে গল্প ফাদতে লাগলো। একবার বললো এটা আর্মিদেরই নতুন আকাশযান আবার পরে বললো এটা নাকি উল্কাপিন্ড!!! সত্যটা আর কখনো জানা যায়নি এরপর।

Nasa faked the moon landings

অনেক পুরনো আর বহু চর্বিত আরেকটি ক্যাচাল। ১৯৬৯ সালটি ছিলো পৃথিবীর জন্য এক স্বপ্নের বছর। স্বপ্নকে জয় করার বছর। এই দিনে পৃথিবীর মানুষের পদধূলী পরে চাদে!!! চাদ জয় করে মানুষ।
এর বিরোধী দলও কম নয়। তারা বলে ১৯৬৯সালে মানুষ কোনভাবেই চাদ জয় করে নাই। সেই সময় পৃথিবীতে মানুষদের যেই প্রযুক্তি ছিলো তাতে চাদের মাটিতে পা রাখা এক অসম্ভব ব্যাপার ছিলো। পুরোটোই আমেরিকানদের বানানো। সম্পূর্ণ ঘটনাটিই আমেরিকানরা পৃথিবীর মাটিতেই চরম গোপনীয়তার সাথে শুটিং করে মানুষদের দেখায়। একদল তো আরো বেশী সরস। তাদের দাবী সেই শুটিংয়ের পরিচালক ছিলেন বিখ্যাত পরিচালক স্ট্যানলি কুবরিক।

The New World Order (NWO)

এটি বর্তমান সময়ের খুব বিতর্কিত ও আলোচিত ব্যাপার। ধারণা করা হচ্ছে চরম গোপনীয়তার মাঝে বিশ্বের ক্ষমতাশালী দেশ আমেরিকা আরো কয়েকটি বন্ধু রাস্ট্রকে নিয়ে World Bank, the IMF, the European Union, the United Nations, and Nato এর সহায়তার সমগ্র বিশ্বকে পাল্টে দেবার অভিযানে গোপনে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের প্রধান ও একমাত্র লক্ষ বিশ্বের সব দেশকে এক করে আনবে। সমগ্র বিশ্বে আর আলাদা কোন দেশ থাকবে না...থাকবে না আলাদা কোন মুদ্রা আর নিয়মকানুন। সমগ্র বিশ্বের শাসনভার থাকবে (NOW) এর হাতে। তারাই ঠিক করবে সবার বর্তমান আর ভবিষ্যত। তাদের কথার বাইরে কিছুই হবে না। এই লক্ষে অনেক আগেই নাকি কাজ শুরু হয়ে গেছে এবং এই ব্যবস্হার জন্য হুমকিস্বরূপ দেশগুলোকে নাকি কৌশলে ধ্বংস করে ফেলবার প্রক্রিয়া চলছে। বেশিদিন সময় নেই আর।

Princess Diana was murdered

সবসময়ের জন্য বিতর্কিত আরেকটি ব্যাপার। ১৯৯৭সালে এক ভয়াবহ গাড়ি দূর্ঘটনায় মারা যান প্রিন্সেস ডায়ানা এবং তার প্রেমিক ফায়াদ। বলা হয়ে থাকে সরাসরি ব্রিটিশ রাজপরিবারের নির্দেশে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্হা MI6 এই দূর্ঘটনার আড়ালে হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছিলো। একে তো প্রিন্সেস ডায়ানার তুমুল জনপ্রিয়তা, সত্যবাদিতা এবং রাজপরিবারের সমালোচনা ব্রিটিশ রাজ পরিবারকে বিপদ এবং অস্বস্তিকর অবস্হায় ফেলে দিয়েছিলো আবার ফায়াদের সাথে উনার সম্পর্ক ব্রিটিশ রাজপরিবার এবং ইংল্যান্ডের জন্য জাতীয় নিরাপত্তার ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছিলো।

Elvis Presley faked his own death

বিখ্যাত ও তুমুল জনপ্রিয় গায়ক Elvis Presley এর নাম শুনেননি এমন মানুষ খুব কমই আছে। বিশ্বজুড়ে রয়েছে তার অগণিত ভক্ত। এখনও মানুষ তার গান শুনে যায়। বিখ্যাত এই গায়ক তরুণ বয়সেই জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকার সময় ১৯৭৭সালে হঠাৎ করে মারা যান। একদলের দাবী সেই সময় আসলে Elvis মারা যাননি। তিনি নিজের মৃত্যু ঘটিয়ে সবার আড়ালে চলে যান। অনেকে নাকি এরপর তাকে দেখেছে!! তার আসল মৃত্যু নাকি হয় ১৯৯০সালে।

Paul McCartney was actually died in 1966

বিশ্বকাপানো সবার প্রিয় ব্যান্ড ‘Beatles’ কে নতুন করে বলার কিছু নেই। সবাই এদের গানের ভক্ত। সেই ব্যান্ডের Paul McCartney কে তো সবাই চিনেন?? একদলের ধারণা ১৯৬৬সালেই এক গাড়ি দূর্ঘটনায় Paul মারা যায়। কিন্তু ১৯৬৬সালের পরও তো Paul ব্যান্ডের হয়ে গান গাচ্ছে...ঘুরে বেড়াচ্ছে। ধারণা করা হয় এটি ছিলো হুবহু Paul এর মতো দেখতে একলোক। যাকে Paul এর মৃত্যুকে লুকানোর জন্য আনা হয়েছে। এমনকি অনেকের ধারণা ১৯৬৬সালের পর Beatles এর অনেক গানে অন্যভাবে Paul এর মৃত্যুর কথার ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে।

July 7, 2005 London series bombings

ইংল্যান্ডের জন্য তথা বিশ্ববাসীর জন্য খুব বেদনায়ক ও ভয়াবহ দিন হলো ২০০৫সালের ৭ই জুলাই। ভূগর্ভস্হ ট্রেনস্টেশনে পরপর কয়েকটি ভয়াবহ সিরিজ বোমা বিস্ফোরনে সেদিন প্রাণ হারাতে হয়েছিলো অসংখ্য নিরপরাধ মানুষকে। মুসলমানদের দায়ী করা হয় এই হামলার জন্য। হামলাকারীদের ফুটেজও প্রকাশ করা হয়। আসলেই কি এটি মুসলমানদের হামলা ছিলো ?? না এটিও ছিলো ক্ষমতাশালী দেশগুলোর সাজানো কোন নাটক। উপরের হামলাকারীর ছবিটি দেখুন। এর নাম Mohammed Sidique Khan। সে সুইসাইড হামলার একজন আসামী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই ছবিটি কোনভাবেই আসল হতে পারে না। জায়গাসহ সব ঠিক আছে। কিন্তু খুব সূক্ষভাবে লক্ষ্য করলে এবং পরীক্ষা করলে খেয়াল করা যাবে ছবির লোকটিকে আলাদা করে ছবিতে বসানো হয়েছে। পুরো ছবিটিই নকল। আবার অনেকে বলেন বোমগুলো হামলাকারীদের ব্যাকপ্যাক থেকে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়নি। এগুলো আগে থেকেই সেখানে রাখা ছিলো। মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকানদের সাথে যুদ্ধে নিজেদের অংশগ্রহনকে দেশবাসীর বৈধতা দেবার জন্য এই হামলা ঘটানো হয়েছিলো ধারণা করা হয়।

The Moscow apartment bombings

১৯৯৯সালে রাশিয়ার মস্কো শহরের একটি অ্যাপাটর্মেন্ট এক ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণে কেপে উঠেছিলো। অনেক হতাহত হয়েছিলো সেই হামলায়। গোটা বিশ্ব হতবাক হয়ে গিয়েছিলো সেই হামলায়। চেচনিয়াদেরকে সেই হামলার জন্য দায়ী করা হয়েছে। কিন্তু অনেকে মতে এটি ছিলো রাশিয়ার নিজেদের কাজ। প্রাক্তন GRU officer Aleksey Galkin and former FSB officer the late Alexander Litvinenko(যাকে রাশিয়ানরাই ২০০৬সালে লন্ডনে বিষ প্রয়োগ করে মেরে ফেলে বলে ধারণা করা হচ্ছে) এবং সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা এই হামলার পরিকল্পনা সাজিয়েছিলো এবং প্রধান গোয়েন্দাসংস্হা KGB সেই হামলার বাস্তবায়ন ঘটিয়েছিলো। চেচনিয়াদের বিরুদ্ধে নিজেদের অসম যুদ্ধের বৈধতা দেশবাসী এবং বিশ্ববাসীর সামনে তুলার জন্য এই হামলা করা হয়েছিলো।

Pearl Harbor was allowed to happen

১৯৪১সাল। বিশ্ববাসী যখন দেখছে ২য় বিশ্বযুদ্ধের প্রলংকারীরূপ। এক অভিলাষী প্ল্যান নিয়ে ইউরোপের দিকে ধেয়ে আসছে হিটলার। আমেরিকা তখনো এই যুদ্ধে জড়ায়নি। তখন বিশ্ববাসী মহা শক্তিশালী আমেরিকাকে আক্রান্ত হতে দেখলো। আমেরিকার Hawaii প্রদেশের প্রধান Navy base Pearl Harbor এ জাপানীরা অতর্কিত হামলা করে বসে। হঠাৎ করে এই হামলায় আমেরিকানদের প্রধান এই Base এর মারাত্মক ক্ষতির সম্মূখিন হয়। প্রচুর মানুষ হতাহত হয় এই হামলায়। এরপরই আমেরিকা ২য় বিশ্বযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। একদলে ধারণা এই ঘটনাগুলোতে অনেক ফাক আছে। আমেরিকা ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সরাসরি এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারছিলো না। অনর্থক এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার বিরোধীতা বিরূদ্ধে খোদ আমেরিকায় প্রচুর আন্দোলন হচ্ছিলো। তাই আমেরিকা জাপানকে নানা উস্কানি দিয়ে একপ্রকার বাধ্য করতে থাকে আমেরিকায় হামলা করার জন্য। এছাড়াও এত বিশাল প্রস্তুতি এ আয়োজনের জাপানের এই হামলার আগে আমেরিকা কিছুই বুঝতে পারে নাই এটা তাদের পক্ষে অসম্ভব। এমনকি হামলার আগে England, Netherlands, Australia, Peru, Korea and the Soviet Union আমেরিকাকে সাবধান করে দিয়েছিলো এই বলে যে জাপান যেকোন সময় Pearl Harbor এ হামলা করবে। কিন্তু আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কোন এক কারণে চুপ থেকে এই হামলার অপেক্ষা করছিলেন।

Year 2004, Indian Ocean tsunami

২০০৪সাল। এশিয়ার মানুষদের জন্য খুব বেদনাদায়ক একদিন। এশিয়ার সমুদ্র পাশ্ববর্তী দেশগুলোর মানুষগুলো এদিন প্রকৃতির ভয়াবহ ও নিষ্ঠুর খেলার বাস্তব রূপ দেখতে পায়। বিশাল আকারের সুনামী আছড়ে পড়ে সমুদ্র পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে। লাখ লাখ মানুষ মারা যায় এই সুনামীতে। বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়া ও শ্রীলংকায় এই হতাহতের সংখ্যা ছিলো সবচেয়ে বেশী। বিশ্ববাসী অনেকদিন মনে রাখবে প্রকৃতির এই নিষ্ঠুর ও ভয়াবহ রূপ। কিন্তু মিশরসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের সংবাদপত্রের দাবী এর পিছনে বিশ্বের শক্তিশালী কয়েকটি দেশের হাত রয়েছে। গোপনীয় পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালাতে গিয়ে দূর্ঘটনাক্রমে বিস্ফোরণে এই সুনামীর সৃষ্টি বলে ধারণা করেন অনেকে।

Fluoridation

দাতের ক্ষয় কমানোর জন্য পানযোগ্য পানিতে Fluoride মেশানো হয় এটা সবাই জানেন। আবার বৈজ্ঞানিকভাবেই প্রমাণিত যে এই Fluoride এর অনেক খারাপ ব্যাপার আছে। এর সাইড এফ্যাক্টে মানুষের শরীর নানাভাবে আক্রান্ত হয়। একদলের ধারণা এসব জানা সত্ত্বেও WHO এই Fluoride প্রয়োগকে নিষেধ করছে না। কারণ এর পিছনে রয়েছে বিশাল ব্যবসা। এর পিছনে রয়েছে সব ঔষুধ কোম্পানী। মানুষ অসুস্হ থাকলেই তো এদের লাভ। মানুষ অসুস্হ না থাকলে এত ঔষুধ কোম্পানী চলবে কি করে ??

HAARP

HAARP(High-frequency Active Auroral Research Program)। প্রকল্পটির অবস্হান Alaska প্রদেশের Anchorage জায়গায়। পেন্টাগনের একটি প্রজেক্ট এটি। কিন্তু কোন এক কারণে এই প্রকল্পটি নিয়ে রয়েছে বিস্তর গোপনীয়তা ও মানুষের কৌতূহল। পেন্টাগন এই প্রকল্পটির উদ্দেশ্য নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছিলো কিন্তু মানুষজন হেসে উড়িয়ে দিয়েছে তা। এত কেন গোপনীয়তা এই প্রকল্পটি ঘিরে ?? এর আসল কাজ কি তাহলে ?? ধারণা করা হয় এটি আমেরিকানদের ‘প্রাকৃতিক অস্ত্র’। পৃথিবীর সংঘটিত ভূমিকম্পের পিছনে এর হাত রয়েছে। পৃথিবী পৃষ্ঠের প্লেটের নড়াচড়ার পিছনে এই প্রকল্প হাত রয়েছে। সত্য তাহলে কি এটাই!!! The X-Files এর একটি এপিসোড ছিলো এই HAARP এর রহস্য নিয়ে।

FEMA's Plastic coffins and concentration camps

কফিনের ছবি
ঠিক Atlanta, Georgia এর একটু বাইরে একটি প্রধান সড়ক। FEMA(Federal Emergency Management Agency) এর বিশাল ক্যাম্প রয়েছে সেখানে। সেই জায়গাটিতে প্রায় ৫০০০০০ এর বেশী প্লাস্টিকের খালি কফিন রাখা আছে। এগুলো এখানে কেন রাখা হয়েছে?? কাদের জন্য এই কফিন???

গোপন ক্যাম্পের ছবি
আবার আমেরিকার অনেক জায়গায় FEMAএর অনেক বিশাল সব ক্যাম্প এর অস্তিত্ব দেখা যায়। বিশাল জায়গা জুড়ে এসব ক্যাম্প। কিন্তু কারো প্রবেশ নিষেধ। এত আয়োজন কাদের জন্য??? ধারণা করা হয় আমেরিকা অথবা বিশ্বে শীঘ্রই একটি বিশাল দূর্যোগ ঘনিয়ে আসছে। অনেক প্রানহানী হবে এতে। পৃথিবীর অনেক সমীকরণ বদলে যাবে এই কারণে। সেই বিপদকে সামনে রেখেই আমেরিকানদের এই পূর্বপ্রস্তুতি। কি!!! অনেকটা ২০১২সালের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে না??

HIV virus was created in a laboratory

Aids এক মরণব্যাধি রোগ। যার চিকিৎসার উপায় এবং ঔষুধ এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে মরণব্যাধী রোগ এটি। প্রতিবছর বিশেষ করে আফ্রিকার প্রচুর মানুষ মারা যাচ্ছে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে। Dr William Campbell Douglass প্রথমে একটি থিওরি দেন। পরে অনেকেই তাকে সমর্থন জানান। উনার মতে HIV ভাইরাসটি ১৯৭৪সালে WHO এর পরিকল্পনা অনুযায়ী ল্যাবটেরীতে গবেষণা করে বানানো হয়েছিলো। বিশ্ব জনসংখ্যা কমানোর জন্য এটি বানানো হয়। পরে এই ভাইরাস খুব ঠান্ডা মাথায় আফ্রিকায় ব্যাপক হারে ছড়িয়ে দেয়া হয়। আরেকদল বলে CIA অথবা KGB এই দুটির যেকোন একটি নিজেদের স্বার্থে এই ভাইরাসটি বানিয়েছিলো। কিন্তু কোন একটি দূর্ঘটনায় এটি পরে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।

2012, End of the world

বিশাল ক্যাচালের ব্যাপার। ২০১২সালে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। অনেকে অবশ্য হেসেই উড়িয়ে দিয়েছে এই ব্যাপার। কিন্তু এর পক্ষের লোক কিন্তু কম নাই। প্রচুর মানুষ বিশ্বাস করে ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে ধ্বংসযজ্ঞ নেমে আসবে পৃথিবীর উপর। মায়ানদের ক্যালেন্ডারের সমাপ্তি এবং নষ্ট্রাডমাস এর কিছু ভবিষ্যৎবাণীর কারণে এই বিশ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে সমগ্র বিশ্বে। আমার নিজের বিশ্বাস ধ্বংস হবে না কিন্তু হয়তো বিশাল একটি পরিবর্তন আসবে পৃথিবীর উপর এই সময়ে। বেশিদিন তো আর নেই। আর কয়েকটি মাস। এই ব্যাপারটি আমরা সবাই মনে হয় দেখে যেতে পারবো নিজ চোখে। দেখা যাক কি হয়!!!!

Bermuda Triangle

যুগ যুগ ধরে চরম আলোচনা চলতে চির রহস্যময় একটি জায়গা। কেন এর কাছাকাছি আসলে যাত্রিবাহী চলন্ত বিশাল সব জাহাজ অথবা প্লেন মানুষসহ অদৃশ্য হয়ে যায়?? কেন সেগুলো আর পরে বহ খুজেও পাওয়া যায় না??? কেনই বা এর আশেপাশের মানুষরা এই জায়গার কাছাকাছি আসলেই অদ্ভূত সব অভিজ্ঞতার সম্মূখিন হয়?? একদলের ধারণা এখানে সমুদ্রের নীচে রয়েছে Alienদের গোপন আস্তানা। তারাই এসব হারিয়ে যাওয়ার পিছনের আসল কারণ। আবার আরেকদল বলে এখানে কোন এক কারণে পৃথিবীর সাথে বাইরের কোন গ্রহের অদৃশ্য একটি দরজা সৃষ্টি হয়েছে। এসব জাহাজ ও প্লেন সেই দরজার ফাদে পড়ে চলে যায় অন্য কোন গ্রহে।

Area 51

আমেরিকানদের চরম গোপনীয় এক সামরিক ঘাটি এটি। আজ পর্যন্ত কোন সাধারণ মানুষ এর ভিতরে ঢুকতে পারেননি। এই ঘাটির আসল কাজ কি সেটা জানতে চেয়েও মেলেনি আমেরিকান সরকারের কাছে উত্তর। এই ব্যাপরটি নিয়ে কোন প্রশ্ন এলেই সবাই এড়িয়ে যায় এই ঘাটির কথা। মাঝে মাঝেই অদ্ভূত সব আকাশযান দেখতে পাওয়া যায় এই ঘাটির কাছাকাছি। পৃথিবীর কোন যানের সাথে এগুলোর কোন মিল নেই। বাইরের কাউকে দেখা মাত্রই গুলি করা হবে এরকম নির্দেশ ঝোলানো আছে এই ঘাটির চারপাশে। ভিতরে কি আছে বা কি হচ্ছে কোনভাবেই অন্য মানুষরা জানতে পারছে না। ধারণা করা হয় Alienরা পৃথিবীর সাথে যোগযোগ করেছে। নিয়মিত তারা আসে পৃথিবীতে। আর তাদের সেই পৃথিবীল আস্তানা হলো এই Area 51। পৃথিবীল মানুষরা যাতে ভুলেও কিছু দেখতে বা জানতে না পারে সেজন্যই এত গোপনীয়তা এখানে।


Blogger Widgets