তাপমাত্রাজনিত কারণে অনেকেই নানারকম সমস্যায় ভুগে থাকেন। চলুন, জেনে নেই কিছু স্বাভাবিক নিয়ম মেনে কীভাবে কম্পিউটারটিকে ঠাণ্ডা রাখতে হবে।
১. বায়ু প্রবাহ নিশ্চিত করুনঃ কম্পিউটার ব্যবহার করার সময় এর কম্পোনেন্টগুলো ব্যবহারের কারণে উত্তপ্ত হয়ে যায়। ফলে কম্পিউটারের কেসিং-এর ফাঁকা স্থানে থাকা বাতাস গরম হয়ে ওঠে। এই গরম বাতাস উত্তপ্ত হতে থাকা কম্পোনেন্টগুলোকে আরও বেশি উত্তপ্ত করে তুলতে পারে। এ জন্য আপনার কম্পিউটারের কেসিং-এর কিছু নির্দিষ্ট স্থানে ছোট ছোট কুলার ফ্যান এর সাহায্যে ভিতরের এই গরম বাতাস বাইরে বের করে দেয়ার ব্যবস্থা থাকে যাতে করে এই ফ্যানগুলো ভেতরের গরম বাতাস বাইরে বের করে দিয়ে ভেতরের বাতাসের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখে।
কেসিং এর কিছু স্থানে আবার ছোট কুলার ফ্যান ব্যবহার না করে শুধু কেসিং-এর গায়ে প্রয়োজন মতো ছিদ্র করা থাকে, যেমন মাদারবোর্ডের পেছনের অংশ। খেয়াল রাখবেন গরম বাতাস বেড়িয়ে যাবার এই পথগুলোর সামনে যেন কোন প্রতিবন্ধকতা না থাকে; এতে করে ভেতরের গরম বাতাস সম্পুর্ন বের হতে পারবে না, ফলে আপনার কম্পিউটারটির বিভিন্ন কম্পিউটার অতিরিক্ত গরম হয়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। অন্ততপক্ষে চারপাশ ২ থেকে ৩ ইঞ্চি খালি জায়গা রাখুন।
২. কম্পিউটারের কেসিং খুলে ব্যবহার করবেন নাঃ উপরের পয়েন্টটি থেকে আপনার মনে হতেই পারে যে আপনি যদি আপনার কেসিংটি খুলে ব্যবহার করেন তবে স্বাভাবিক ভাবেই কোন রকম কুলার ফ্যান ছাড়াই যথেষ্ট পরিমাণ এয়ার-ফ্লো আপনার পিসিতে থাকবে। হ্যাঁ,
সেক্ষেত্রে আপনার যুক্তি ঠিক। কিন্তু আপনি ধুলো-বালির কথা ভুলে যাচ্ছেন। ধুলো-বালি আপনার প্রসেসরের উপরে থাকা ফ্যানটির গতিরোধ করবে এবং গতিরোধের কারণে প্রসেসরের ফ্যানটি স্বাভাবিকের চাইতে কম সময় টিকবে। অর্থাৎ প্রথম প্রথম আপনি হালকা সুবিধা পেলেও এটি মূলত আপনার ক্ষতিই করছে।
৩. আপনার কম্পিউটারটি পরিষ্কার রাখুনঃ আপনার কম্পিউটার সিস্টেমকে ঠাণ্ডা রাখে কেসিং-এর ভিতরে থাকা কুলিং ফ্যানগুলো। আস্তে আস্তে সেই ফ্যানগুলোতে ধুলো এবং অনান্য ময়লা জমে যায় যা ফ্যানের পারফরম্যান্সকে কমিয়ে দেয় এবং কুলিং ফ্যান এর স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাঁধা দিয়ে থাকে।
এ জন্য আপনার কম্পিউটারের কেইস খুলে ব্লোয়ার এর সাহায্যে ভিতরের কম্পোনেন্টগুলো এবং পাখাগুলো পরিষ্কার করুন। সাধারণত, কম্পিউটারে প্রসেসরের উপরে, পাওয়ার সাপ্লাই এর ভেতরে এবং কেসিং-এর সাথে দুটি অথবা তিনটি কুলিং ফ্যান থেকে থাকে। সেগুলো পরিষ্কার করুন। চেষ্টা করুন পাওয়ার সাপ্লাইটি খুলে এর কুলিং ফ্যানটি পরিষ্কার করতে।
কম্পিউটার বাজারে একটি ব্লোয়ার আপনি ১৫০০ টাকার মাঝে পেয়ে যাবেন।
৪. সিপিইউ-এর ফ্যান ও থার্মালপেস্ট পরিবর্তন করুনঃ সাধারণত প্রসেসর কম্পিউটারটির মধ্যে থেকে থাকা সবচাইতে দামি এবং স্পর্শকাতর কম্পোনেন্ট হয়ে থাকে এবং ব্যবহারের সময় প্রসেসরই দ্রুত গরম হয়। আপনি যদি ইতিমধ্যেই আপনার স্টক প্রসেসরের কুলারটি পরিবর্তন করে থাকেন তবে খেয়াল করুন ফ্যানটি ফুল স্পিডে চলছে কিনা। আর যদি এখনো পরিবর্তন না করে থাকেন তবে আপগ্রেড করতে চেষ্টা করুন। কেননা, অনেক কোম্পানিই আছে যারা প্রসেসরের জন্য কিছুটা বড় মাপের কুলার ফ্যান তৈরি করে থাকে। যা প্রসেসরকে স্টক কুলার থেকেও ঠাণ্ডা রাখতে সক্ষম। সেক্ষেত্রে প্রসেসরের ফ্যান আপগ্রেড করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
মনে রাখবেন, স্বাভাবিকভাবে পিসিতে প্রি-ইন্সটলড থেকে থাকা যন্ত্রাংশগুলোর চাইতে নতুন কেনা যন্ত্রগুলো বেশি ভালো এবং কার্যকর হয়ে থাকে।
৫. কেসিং–এর ফ্যানের সংখ্যা বৃদ্ধি করুনঃ কেসিং-এর ভেতরে সাধারণত একটি ফ্যান সংযুক্ত থাকে। কিন্তু লক্ষ্য করলে দেখবেন প্রায় প্রতিটি কেসিং এর ভেতরেই দু-তিনটি কুলার ফ্যান লাগানোর জায়গা থাকে। সেগুলো ব্যবহার করা উত্তম। কেননা, অতিরিক্ত কুলার ফ্যানের সাহায্যে আপনি আপনার সিস্টেমকে আরও ঠাণ্ডা রাখতে পারবেন নিশ্চিন্তেই। বাজারে নন ব্র্যান্ড এবং ব্র্যান্ড – দু'রকমেরই কেসিং ফ্যান পাওয়া যায়। নন-ব্র্যান্ড গুলো ৭০ থেকে ১৫০ টাকায় এবং ব্র্যান্ডের গুলো ১৫০০-৪০০০ টাকার মাঝে পাবেন।
৬. ওভারক্লক করবেন নাঃ যদি আপনি ‘ওভারক্লকিং’ শব্দটির সাথে পরিচিত না হয়ে থাকেন তবে সম্ভবত আপনি এখনো আপনার সিস্টেম ওভারক্লক করেননি। কিন্তু যারা ওভারক্লকিং এর সাথে পরিচিত তারা বুঝে শুনে ওভারক্লক করুন। ওভারক্লকিং প্রসেস আপনার কম্পোনেন্টকে এর সর্বোচ্চ পারফরম্যান্সে কাজ করতে বাধ্য করে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ওভারক্লকিং এর কারণে ওভারক্লকড কম্পোনেন্টটি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি উত্তপ্ত হয়ে যায়।
ধরুন, আপনি আপনার প্রসেসরটি ওভারক্লক করলেন কিন্ত অন্যান্য সতর্কতা গ্রহণ করলেন না। এতে করে খুব সহজেই আপনার প্রসেসরটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই, আপনার একেবারেই যদি প্রয়োজন না হয় তবে আপনার সিস্টেমটিকে এর স্বাভাবিক ক্ষমতায় ব্যবহার করুন। আর যদি ওভারক্লক করেই থাকেন তবে প্রয়োজন অনুযায়ী কুলিং সিস্টেম এবং ভালো পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট ব্যবহার করুন।
৭. পাওয়ার সাপ্লাই চেক করুনঃ আপনার কেসিং-এর ভেতরে যদি আপনি কোন প্রকার কুলিং ফ্যান ব্যবহার করে না থেকেন তবে আপনার পাওয়ার সাপ্লাই-ই একমাত্র পন্থা যা ভেতরের গরম বাতাসকে বাইরে ট্রান্সফার করতে পারে। তাই পাওয়ার সাপ্লাই চেক করুন। যদি এর ফ্যান কোনোভাবে কাজ না করে তবে যেকোন সময় আপনার সিস্টেম অতিরিক্ত তাপমাত্রা জনিত কারণে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে কোনোভাবে যদি আপনার পাওয়ার সাপ্লাইয়ের কুলার কাজ না-ই করে তবে আপনার সম্পূর্ণ নতুন পাওয়ার সাপ্লাই কিনতে হবে; কেননা এর ফ্যান রিপেয়ারযোগ্য নয়।
ভালো মানের পাওয়ার সাপ্লাই ব্যবহার করুন। বাজারে নন-ব্র্যান্ডের পাওয়ার সাপ্লাই ৬০০-৯০০ টাকায় এবং ব্র্যান্ডের পাওয়ার সাপ্লাই ২৫০০ থেকে ৫০০০ টাকার মাঝে পাবেন।
৮. প্রতিটি যন্ত্রাংশের জন্য আলাদা কুলিং ফ্যান ব্যবহার করতে পারেনঃ যদিও প্রসেসরই কেসিং-এর তাপমাত্রার জন্য দায়ী কিন্তু কম্পিউটারের অন্যান্য যন্ত্রাংশও তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সমানভাবে কাজ করে। যেমন, যদি আপনি আপনার কম্পিউটারে গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করে থাকেন তবে দেখতে পাবেন গ্রাফিক্স কার্ডের সাথেই দু’টি কিংবা একটি ছোট কুলিং ফ্যান ডিফল্ট ভাবে যুক্ত করা আছে। কিন্তু যদি সেই কুলারগুলে কাজ করা সত্ত্বেও আপনার গ্রাফিক্স কার্ডটি ব্যবহারের সময় অতিরিক্ত উত্তপ্ত হয়ে যায় তাহলে আপনি আপনার গ্রাফিক্স কার্ডের জন্য এক্সট্রা কুলিং ফ্যান লাগিয়ে নিতে পারেন।
এরকম কিছু ছোট ছোট নিয়মের মাঝে থেকেই আপনি আপনার কম্পিউটারটিকে খুব সহজেই ঠাণ্ডা রাখতে পারবেন। এতে করে আপনার মূল্যবান কম্পিউটারটি তাপমাত্রাজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া থেকে কিছুটা হলেও বেঁচে যাবে।
ইন্টারনেট জগত সম্পর্কে ১০ টি আশ্চর্য সত্য যা শুনলে আপনার চোখ কপালে না, আসমানে উঠবে!
এই সারসংক্ষেপটি পাওয়া যাবে না। পোস্ট দেখার জন্য
এখানে ক্লিক করুন ।
আপনার হারিয়ে যাওয়া এন্ড্রোয়েড ফোনকে খুঁজে বের করুন
আজ আমি আপনাদের এন্ড্রয়েড সম্পর্কিত একটি গুরুত্বপূর্ন এপ্ সম্পর্কে জানাব যা এন্ড্রয়েড এন জন্য খুবই দরকারি, এই এপটি আপনার এন্ড্রয়েডকে হারানোর পর আপনার কাছে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে। এর নাম xtrasec mobile security.
তো মূল কথায় আসা যাক,এই এপসটি আপনার অবর্তমানে যখন কেউ আপনার ফোনের লক খোলার চেষ্টা করবে,front camera তখন তার ছবি তুলবে,আর আপনার email address setting menu তে রাখলে ছবিগুলো আপনাকে email করবে যা থেকে আপনি চোরকে চিনতে পারবেন।
এছাড়াও,এর settings মেনুতে আপনার পরিচিত অথবা আপনার নিজস্ব নম্বরগুলো add করে রাখলে যখনই কেউ আপনার সিমটি খুলে অন্য সিম লাগাবে সাথে সাথে এটি আপনাকে উক্ত সিম থেকে ফোনের লোকেশন পাঠাবে যা আপনার হারানো ফোন খোঁজায় আপনাকে সাহায্য করবে,এছাড়াও sms command এর মাধ্যমে আপনি ফোনের ডাটা মুছে ফেলা ছাড়াও আরো অনেক সুবিধা পাবেন।
এ্যপটি ডাউনলোডের জন্য ক্লিক করুন সাইজ 858kb , Requires Android 2.3 and up
তো মূল কথায় আসা যাক,এই এপসটি আপনার অবর্তমানে যখন কেউ আপনার ফোনের লক খোলার চেষ্টা করবে,front camera তখন তার ছবি তুলবে,আর আপনার email address setting menu তে রাখলে ছবিগুলো আপনাকে email করবে যা থেকে আপনি চোরকে চিনতে পারবেন।
এছাড়াও,এর settings মেনুতে আপনার পরিচিত অথবা আপনার নিজস্ব নম্বরগুলো add করে রাখলে যখনই কেউ আপনার সিমটি খুলে অন্য সিম লাগাবে সাথে সাথে এটি আপনাকে উক্ত সিম থেকে ফোনের লোকেশন পাঠাবে যা আপনার হারানো ফোন খোঁজায় আপনাকে সাহায্য করবে,এছাড়াও sms command এর মাধ্যমে আপনি ফোনের ডাটা মুছে ফেলা ছাড়াও আরো অনেক সুবিধা পাবেন।
এ্যপটি ডাউনলোডের জন্য ক্লিক করুন সাইজ 858kb , Requires Android 2.3 and up
জিন বিধাতার বিস্ময়কর সৃষ্টি Science With Quran
পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন স্থানে জীন প্রসঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশেষভাবে বলা হয়েছে যে, মানুসকে কাদামাটি ও পানি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে; বিজ্ঞান এ কথা স্বীকার করে নিয়েছে। পবিত্র কোরআন জীন সম্পর্কে বলেছে যে, তাদেরকে আগুনের শীখা থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। কোরআনের ইংরেজী অনুবাদক জনাব ইউসূফ আলী তার ব্যাখ্যায় বলেছেন, যে, জীন হল অতি সাধারণ চেতনা (spirit)বা অদৃশ্য শক্তি। এর চাক্ষুস কোন পরিচয় না থাকলেও প্রায় সকল জাতি্তে এই জীন নিয়ে রয়েছে নানা কল্প কাহিনী, যেখানে নানা রকমে রহস্যময় করে তোলা হয়েছে এই সৃষ্টিকে।
এই জীন প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআন বলছে,
وَالْجَآنَّ خَلَقْنَاهُ مِن قَبْلُ مِن نَّارِ السَّمُومِ
15:27 এবং জিনকে এর আগে লু এর আগুনের দ্বারা সৃজিত করেছি।
জনাব ইউসূফ আলী বলেছেন আগুনের প্রজ্জ্বলিত শীখা থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে, অর্থাৎ ধূম্র বিহীন আগুনের শীখা থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে।
সূধী পাঠক, আগুনের সাথে আমাদের সকলেরই মোটামুটি পরিচয় রয়েছে। আগুন বলতে আমরা বুঝি প্রজ্জ্বলিত শীখা; এটি একপ্রকার শক্তি যা তাপ উৎপাদন করে। আমরা জানি এই আগুন নানাভাবে উৎপাদিত হয়; তন্মধ্যে প্রধানত; ১.জ্বালনী পুড়িয়ে,যেমন, কাঠ, কয়লা,তেল ইত্যাদি; এই উৎপাদনকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে অক্সিডেশন বা প্রজ্জ্বলন;অর্থাৎ বাতাসের অক্সিজেনের সহযোগিতায় প্রকৃতিতে প্রাপ্ত হাইড্রোকার্বন জালিয়ে শক্তি উৎপাদন করা। এ ক্ষেত্রে বন্ধনী ভেঙে পরমানুগুলো বিমুক্ত হয়ে কিচু ভিন্ন যৌগ উৎপাদন করে প্রচুর শক্তির বিমোচন ঘটে, অধিকাংশ কার্বন পরমানু কয়লা বা ভূষা কালি রূপে অবশিষ্ট থাকে;আর কিছু কার্বনডাই অক্সাইড রূপে বাতাসে মিশে যায়। 2.ফিসন ও ফিউসন; এই পদ্ধতিতে পরমানুর কেন্দ্রে প্রকৃতিগতভাবে গচ্ছিত শক্তির প্রজ্জ্বলন ঘটানো হয়। ফিসন পদ্ধতিতে একদিক পরমানুর কেন্দ্র মিলিত হয়ে ভারী মৌলের উৎপাদন ঘটেও শক্তির বিমোচন হয়।সূর্যে ও অন্যান্ন নক্ষত্রে মৌলিক উপাধান হাইড্রোজেন রূপান্তরিত হয়ে হিলিয়াম উৎপন্ন করে পাশাপাশি শক্তির বিমোচন ঘটে, আর এই শক্তিই আমরা সূর্যের বিকিরণ হিসেবে দেখে থাকি। অন্যদিকে ফিসন পদ্ধতি হল কোন পরমানুর কেন্দ্র ভেঙে শক্তির উৎপাদন। সাধারণতৎ বৃহৎ পরমানুর কেন্দ্র ভেঙে ক্ষুদ্র পরমানুতে রূপান্তরিত হয়ে শক্তির বিমোচন ঘটায়। ৩.বিদ্যুৎ চুম্বক প্রজ্জ্বলন; চুম্বক ক্ষেত্রের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহের মাধ্যামে শক্তির বিমোচন ঘটানোই হল এই পদ্ধতিতে প্রজ্জ্বলন করা। আপনার ঘরের বিদ্যুত বাতিটি কিন্তু এই পদ্ধতিতেই আলো দিয়ে থাকে।
সূধী পাঠক , এখানে আরেকটি বিষয় অবগত হওয়া প্রয়োজন; তা হল ধূঁয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া। ধূঁয়ার বৈজ্ঞানীক সঙ্গা হল-অতি সূক্ষ কণার ভাসমান দৃশ্য। সাধারনতঃঅগ্নি প্রজ্জ্বলনের সময় সিংমিশ্রিত গ্যাসে সূক্ষ কার্বন কণার ভাসমান অবস্থাকেই আমরা ধূঁয়া বলে ভাবি ও দেখি। তাহলে কোন ধরনের অগিনশিখায় ধূঁয়ার সৃষ্টি হতে পারে? স্পষ্টতই বুঝাযাচ্ছে,যখন কোন ভারী হাইড্রোকার্বন জ্বালানীকে দাহ্য করা হয় শুধুমাত্র তখনই ধূঁয়ার সৃষ্টি হতে পারে; উপরের ২য় বা ৩য় কোন পদ্ধতিতেই ধূঁয়ার সৃষ্টি হতে পারেনা। তাহলে উপরের আয়াতে বর্ণিত আগুন আমাদের অতি পরিচিত ১ম শ্রেণীর আগুন নয় যা দিয়ে জিনকে সৃষ্টি করা হয়েছে। তা অবশ্যই ২য় বা ৩য় প্রকারের আগুন।
বৃটিশ অনুবাদক Muhammad Marmaduke Pickthall জিনকে বর্ণনা করেছেন ‘আগন্তুক’ (Aliens) হিসেবে; তিনি বলেছেন যে, জিনরা পৃথিবীর অধিবাসী নয়, তারা ভীণ গ্রহের অধিবাসী। অদ্যাবদি বিজ্ঞানের ধারণামতে একমাত্র পৃথিবীতেই সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী মানুষের বসবাস রয়েছে। ১৯২৭ সালে , Sir Francis Younghusband তার Life in the Stars নামক গ্রন্থে বলেছেন, অন্য গ্রহে ফিরিশ্তাদের বৈশিষ্টধারী প্রাণী রয়েছে। আমাদের সূরুয একটি নক্ষত্র। অধিকাংশ ধর্মাবলম্বীদেরই জীন সম্পর্কে ধারণা রয়েছে। পৃথিবীতে বিচরণশীল সকল প্রাণী কার্বণজাত পদার্থ ও পানি থেকে তৈরী আর তাদের দৈহিক ক্রিয়া কর্মের জন্যে শক্তির প্রয়োজন, আর এই শক্তির জোগান দেয় তাদের ভক্ষণকৃত খাদ্য রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যামে।শরীরে নানাবিধ রাসায়নিক বিক্রিয়ার মধ্যে খাদ্য থেকে উৎপাদিত চিনি ও রক্তের মধ্যে উপস্থিত অক্সিজেনের বিক্রিয়াই হল শক্তি উৎপাদন বিক্রিয়া; এই বিক্রিয়ায় চিনি ভেঙে পানি ও কার্বণডাইঅক্সাইড উৎপাদিত হয় আর সেই সংঙ্গে উৎপাদিত হয় প্রচুর শক্তি যা আমাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে তাদের নিজ নিজ কর্মে সহযোগিতা করে।
সূধী পাঠক,আমাদের পৃথিবীতে অবস্থিত প্রাণীদের দেহ হাইড্রোকার্বণ ভিত্তিক। এই প্রাণীদেহ সৃষ্টি হয়েছে প্রধানতঃপ্রোটিন সংশ্লেষন থেকে। এই প্রোটিন সংশ্লেষনের মাধ্যামে প্রাণী কোষ সৃষ্টি প্রকৃতিতে এক মহা বিষ্ময়। বিজ্ঞান তার কষ্টিপাথরে যাঁচাই করে দেখেছে য, প্রাণের মূল উপাদান এই প্রোটিন তৈরী হয়েছে এমাইনো এসিড থেকে;আর এমাইনো এসিড একটি সম্পূর্ণ অজৈব রাসায়নিক পদার্থ। বিজ্ঞান অবাক বিষ্ময়ে ঘোষনা করছে যে, মহাবিশ্বে প্রাণ সৃষ্টি হয়েছে নিস্প্রাণ পদার্থ থেকে। বড়ই আশ্চর্যের বিষয়,বিজ্ঞান শুধু বলেছে,কিন্তু তার সকল মেধা ও অভিধা দিয়ে চেষ্ঠা করেও একটা সরল প্রোটিন অনু তৈরী করতে পারেনি। বিজ্ঞান বলেছে,পৃথিবীতে অবস্থানরত সকল প্রাণীদেহেরই মৌলিক উপাধান কিছু অজৈব মৌল। যাদের সংশ্লেষ থেকে এই প্রাণীজগতের উৎভাবন হয়েছে। স্রষ্টার কোন এক চুল্লিতে ঐ সকল মৌলগুলি প্রজ্জ্বলিত হয়ে উন্মেষ ঘটিয়েছে প্রাণ অনুর। স্রষ্টার এই প্রজ্জ্বলন যে শুধু পৃথিবীর বুকেই ঘটেছে তা নয়। তিনি নিজেই বলেছেন মহাকাশের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে প্রানের স্পন্দন।
সূর্যে জীবনের উপস্থিতি
ভৌত ও রাসায়ণিক নিয়ম অনুযায়ী বিজ্ঞানীরা সূর্যেও প্রাণের অবস্থান রয়েছে বলে ভাবছেন। সূর্যের সর্ববহিস্থঃ স্তরকে বলে Chromosphere and Corona ; এই স্তরের তাপমাত্রা ৪০০০ ডিগ্রী সেঃ। করোনার নীচের স্তরের নাম ফটোস্ফিয়ার (Photosphere) যেখানে তাপমাত্রা ৫৭০০ ডিগ্রী সেঃ; এই তাপমাত্রাই হল সূর্য পৃষ্ঠের তাপমাত্রা। ফটোস্ফিয়ারের ভিতরের স্তরের নাম প্লাজমা ইন্টেরিয়র (Plasma Interior),সেখারকার তাপমাত্রা ৩০,০০০ ডিগ্রী সেঃ; এই তাপমাত্রায় পরমানু তার ইলেট্রন হারায় যা সাধারণ অবস্থায় মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াতে পারে। সাধারনতঃ গড়ম গ্যাসের ঘনত্ব ভূপৃষ্ঠের বায়ুর মত হয়ে থাকে। সূর্যের বহিঃস্তর থেকে কেন্দ্র অবদি দূরত্বের মাঝামাঝি স্থানে সূর্যের তাপমাত্রা কয়েক মিলিয়ন ডিগ্রী; আর এখানে পরমানুর সকল ইলেকট্রন মুক্তু হয়ে ঘুরাঘুরি করে আর পরমানুর কেন্দ্রগুলি ধনাত্মক চার্জ বা আয়নরূপে পড়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে পরমানুর কেন্দ্র ও ইলেক্ট্রন বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান করে,পদার্থের এই অবস্থাকে বলে প্লাজমা (Plasma)। সম্ভবতঃ এই প্লাজমাকেই পবিত্র কোরআন ধূঁয়া বিহীন আগুন বলেছে (smokeless Fire)।সূর্যের কেন্দ্রে তাপমাত্রা প্রায় ১০ মিলিয়ন ডিগ্রী এবং ঘনত্ব স্বর্ণের পাঁচগুন যা পৃথিবীতে প্রাপ্ত যে কোন পদার্থের ঘনত্বের চেয়ে বেশী। সৌর কেন্দ্রে সারাক্ষণ চলছে নিউক্লিয়ার ফিউসন বিক্রিয়া, আর এই বিক্রিয়ায় জ্বালানী হাইড্রোজেন বিগলিত হয়ে হিলিয়াম কেন্দ্র উৎপাদন করে আর সেই সাথে উৎপাদিত হয় শক্তি। আমরা জানি নিউক্লিয়ার বম্ব এই ফিউসন অর্থাৎ বিগলন পদ্ধতিতে শক্ত উৎপাদনের মাধামে ক্রিয়া করে আর এটমিক বম্ব ক্রিয়া করে ফিসন (splitting of the atomic nucleus)পদ্ধতিতে।
বিজ্ঞানী G. Feinberg and R.Shapiro তাদের LIFE BEYOND EARTH গ্রন্থে লিখেছেন য, আমাদের সূর্যের বা অন্যকোন নক্ষত্রে এই প্লাজমাতে জীবন প্রাপ্তির সর্বোচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে। ঐ রকম প্রাণীদের তারা নাম দিয়েছেন প্লজমা সাবক(Plasmabeasts)। আমাদের ধারনা মতে এই প্লাজমা সাবক জীন ছাড়া অন্য কিছু হতে পারেনা। পৃথিবীতে জীবনকে বলাহয় রাসায়নিক জীবন, আর প্লাজমাতে অবস্থিত জীবনকে বলা হয় ভৌত প্রাণী। সূর্যে বা তারায় প্লাজমাতে মুক্ত ইলেকট্রন ঋণাত্মক চার্জ রূপে আর পরমানু কেন্দ্র গুলো ধনাত্মক চার্জ রূপে ভাসমান থেকে গভীর চুম্বক বল রূপে কাজ করে। জিনরাও এভাবেই শক্তি হিসেবে বর্ণিত হয়েছে,তাদের গাঠনিক কৌশল যতটাই বুঝা গেছে তাতে তারা চুম্বক শক্তির মতই তৈরী হয়েছে বলে মন হয়।যারা মুক্ত আয়নের মত ঘুরে বেড়াতে পারে। এই প্লাজমা ভূমিতে বসবাস উপযোগী এই জীনদের গঠণ ভিত্তি আরও অনেক জটীল, নির্দিষ্ট আকৃতিতে জীনদের ঘুরে বেড়ানোর পিছনে রয়েছে চুম্বক শক্তি। সম্ভবত এমনি কোন বল জিনদের মূল চালিকা শক্তি। সূত্র- Dr. Ibrahim B. Syed, President, Islamic Research Foundation International, Inc
এই জীন প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআন বলছে,
وَالْجَآنَّ خَلَقْنَاهُ مِن قَبْلُ مِن نَّارِ السَّمُومِ
15:27 এবং জিনকে এর আগে লু এর আগুনের দ্বারা সৃজিত করেছি।
জনাব ইউসূফ আলী বলেছেন আগুনের প্রজ্জ্বলিত শীখা থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে, অর্থাৎ ধূম্র বিহীন আগুনের শীখা থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে।
সূধী পাঠক, আগুনের সাথে আমাদের সকলেরই মোটামুটি পরিচয় রয়েছে। আগুন বলতে আমরা বুঝি প্রজ্জ্বলিত শীখা; এটি একপ্রকার শক্তি যা তাপ উৎপাদন করে। আমরা জানি এই আগুন নানাভাবে উৎপাদিত হয়; তন্মধ্যে প্রধানত; ১.জ্বালনী পুড়িয়ে,যেমন, কাঠ, কয়লা,তেল ইত্যাদি; এই উৎপাদনকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে অক্সিডেশন বা প্রজ্জ্বলন;অর্থাৎ বাতাসের অক্সিজেনের সহযোগিতায় প্রকৃতিতে প্রাপ্ত হাইড্রোকার্বন জালিয়ে শক্তি উৎপাদন করা। এ ক্ষেত্রে বন্ধনী ভেঙে পরমানুগুলো বিমুক্ত হয়ে কিচু ভিন্ন যৌগ উৎপাদন করে প্রচুর শক্তির বিমোচন ঘটে, অধিকাংশ কার্বন পরমানু কয়লা বা ভূষা কালি রূপে অবশিষ্ট থাকে;আর কিছু কার্বনডাই অক্সাইড রূপে বাতাসে মিশে যায়। 2.ফিসন ও ফিউসন; এই পদ্ধতিতে পরমানুর কেন্দ্রে প্রকৃতিগতভাবে গচ্ছিত শক্তির প্রজ্জ্বলন ঘটানো হয়। ফিসন পদ্ধতিতে একদিক পরমানুর কেন্দ্র মিলিত হয়ে ভারী মৌলের উৎপাদন ঘটেও শক্তির বিমোচন হয়।সূর্যে ও অন্যান্ন নক্ষত্রে মৌলিক উপাধান হাইড্রোজেন রূপান্তরিত হয়ে হিলিয়াম উৎপন্ন করে পাশাপাশি শক্তির বিমোচন ঘটে, আর এই শক্তিই আমরা সূর্যের বিকিরণ হিসেবে দেখে থাকি। অন্যদিকে ফিসন পদ্ধতি হল কোন পরমানুর কেন্দ্র ভেঙে শক্তির উৎপাদন। সাধারণতৎ বৃহৎ পরমানুর কেন্দ্র ভেঙে ক্ষুদ্র পরমানুতে রূপান্তরিত হয়ে শক্তির বিমোচন ঘটায়। ৩.বিদ্যুৎ চুম্বক প্রজ্জ্বলন; চুম্বক ক্ষেত্রের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহের মাধ্যামে শক্তির বিমোচন ঘটানোই হল এই পদ্ধতিতে প্রজ্জ্বলন করা। আপনার ঘরের বিদ্যুত বাতিটি কিন্তু এই পদ্ধতিতেই আলো দিয়ে থাকে।
সূধী পাঠক , এখানে আরেকটি বিষয় অবগত হওয়া প্রয়োজন; তা হল ধূঁয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া। ধূঁয়ার বৈজ্ঞানীক সঙ্গা হল-অতি সূক্ষ কণার ভাসমান দৃশ্য। সাধারনতঃঅগ্নি প্রজ্জ্বলনের সময় সিংমিশ্রিত গ্যাসে সূক্ষ কার্বন কণার ভাসমান অবস্থাকেই আমরা ধূঁয়া বলে ভাবি ও দেখি। তাহলে কোন ধরনের অগিনশিখায় ধূঁয়ার সৃষ্টি হতে পারে? স্পষ্টতই বুঝাযাচ্ছে,যখন কোন ভারী হাইড্রোকার্বন জ্বালানীকে দাহ্য করা হয় শুধুমাত্র তখনই ধূঁয়ার সৃষ্টি হতে পারে; উপরের ২য় বা ৩য় কোন পদ্ধতিতেই ধূঁয়ার সৃষ্টি হতে পারেনা। তাহলে উপরের আয়াতে বর্ণিত আগুন আমাদের অতি পরিচিত ১ম শ্রেণীর আগুন নয় যা দিয়ে জিনকে সৃষ্টি করা হয়েছে। তা অবশ্যই ২য় বা ৩য় প্রকারের আগুন।
বৃটিশ অনুবাদক Muhammad Marmaduke Pickthall জিনকে বর্ণনা করেছেন ‘আগন্তুক’ (Aliens) হিসেবে; তিনি বলেছেন যে, জিনরা পৃথিবীর অধিবাসী নয়, তারা ভীণ গ্রহের অধিবাসী। অদ্যাবদি বিজ্ঞানের ধারণামতে একমাত্র পৃথিবীতেই সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী মানুষের বসবাস রয়েছে। ১৯২৭ সালে , Sir Francis Younghusband তার Life in the Stars নামক গ্রন্থে বলেছেন, অন্য গ্রহে ফিরিশ্তাদের বৈশিষ্টধারী প্রাণী রয়েছে। আমাদের সূরুয একটি নক্ষত্র। অধিকাংশ ধর্মাবলম্বীদেরই জীন সম্পর্কে ধারণা রয়েছে। পৃথিবীতে বিচরণশীল সকল প্রাণী কার্বণজাত পদার্থ ও পানি থেকে তৈরী আর তাদের দৈহিক ক্রিয়া কর্মের জন্যে শক্তির প্রয়োজন, আর এই শক্তির জোগান দেয় তাদের ভক্ষণকৃত খাদ্য রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যামে।শরীরে নানাবিধ রাসায়নিক বিক্রিয়ার মধ্যে খাদ্য থেকে উৎপাদিত চিনি ও রক্তের মধ্যে উপস্থিত অক্সিজেনের বিক্রিয়াই হল শক্তি উৎপাদন বিক্রিয়া; এই বিক্রিয়ায় চিনি ভেঙে পানি ও কার্বণডাইঅক্সাইড উৎপাদিত হয় আর সেই সংঙ্গে উৎপাদিত হয় প্রচুর শক্তি যা আমাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে তাদের নিজ নিজ কর্মে সহযোগিতা করে।
সূধী পাঠক,আমাদের পৃথিবীতে অবস্থিত প্রাণীদের দেহ হাইড্রোকার্বণ ভিত্তিক। এই প্রাণীদেহ সৃষ্টি হয়েছে প্রধানতঃপ্রোটিন সংশ্লেষন থেকে। এই প্রোটিন সংশ্লেষনের মাধ্যামে প্রাণী কোষ সৃষ্টি প্রকৃতিতে এক মহা বিষ্ময়। বিজ্ঞান তার কষ্টিপাথরে যাঁচাই করে দেখেছে য, প্রাণের মূল উপাদান এই প্রোটিন তৈরী হয়েছে এমাইনো এসিড থেকে;আর এমাইনো এসিড একটি সম্পূর্ণ অজৈব রাসায়নিক পদার্থ। বিজ্ঞান অবাক বিষ্ময়ে ঘোষনা করছে যে, মহাবিশ্বে প্রাণ সৃষ্টি হয়েছে নিস্প্রাণ পদার্থ থেকে। বড়ই আশ্চর্যের বিষয়,বিজ্ঞান শুধু বলেছে,কিন্তু তার সকল মেধা ও অভিধা দিয়ে চেষ্ঠা করেও একটা সরল প্রোটিন অনু তৈরী করতে পারেনি। বিজ্ঞান বলেছে,পৃথিবীতে অবস্থানরত সকল প্রাণীদেহেরই মৌলিক উপাধান কিছু অজৈব মৌল। যাদের সংশ্লেষ থেকে এই প্রাণীজগতের উৎভাবন হয়েছে। স্রষ্টার কোন এক চুল্লিতে ঐ সকল মৌলগুলি প্রজ্জ্বলিত হয়ে উন্মেষ ঘটিয়েছে প্রাণ অনুর। স্রষ্টার এই প্রজ্জ্বলন যে শুধু পৃথিবীর বুকেই ঘটেছে তা নয়। তিনি নিজেই বলেছেন মহাকাশের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে প্রানের স্পন্দন।
সূর্যে জীবনের উপস্থিতি
ভৌত ও রাসায়ণিক নিয়ম অনুযায়ী বিজ্ঞানীরা সূর্যেও প্রাণের অবস্থান রয়েছে বলে ভাবছেন। সূর্যের সর্ববহিস্থঃ স্তরকে বলে Chromosphere and Corona ; এই স্তরের তাপমাত্রা ৪০০০ ডিগ্রী সেঃ। করোনার নীচের স্তরের নাম ফটোস্ফিয়ার (Photosphere) যেখানে তাপমাত্রা ৫৭০০ ডিগ্রী সেঃ; এই তাপমাত্রাই হল সূর্য পৃষ্ঠের তাপমাত্রা। ফটোস্ফিয়ারের ভিতরের স্তরের নাম প্লাজমা ইন্টেরিয়র (Plasma Interior),সেখারকার তাপমাত্রা ৩০,০০০ ডিগ্রী সেঃ; এই তাপমাত্রায় পরমানু তার ইলেট্রন হারায় যা সাধারণ অবস্থায় মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াতে পারে। সাধারনতঃ গড়ম গ্যাসের ঘনত্ব ভূপৃষ্ঠের বায়ুর মত হয়ে থাকে। সূর্যের বহিঃস্তর থেকে কেন্দ্র অবদি দূরত্বের মাঝামাঝি স্থানে সূর্যের তাপমাত্রা কয়েক মিলিয়ন ডিগ্রী; আর এখানে পরমানুর সকল ইলেকট্রন মুক্তু হয়ে ঘুরাঘুরি করে আর পরমানুর কেন্দ্রগুলি ধনাত্মক চার্জ বা আয়নরূপে পড়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে পরমানুর কেন্দ্র ও ইলেক্ট্রন বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান করে,পদার্থের এই অবস্থাকে বলে প্লাজমা (Plasma)। সম্ভবতঃ এই প্লাজমাকেই পবিত্র কোরআন ধূঁয়া বিহীন আগুন বলেছে (smokeless Fire)।সূর্যের কেন্দ্রে তাপমাত্রা প্রায় ১০ মিলিয়ন ডিগ্রী এবং ঘনত্ব স্বর্ণের পাঁচগুন যা পৃথিবীতে প্রাপ্ত যে কোন পদার্থের ঘনত্বের চেয়ে বেশী। সৌর কেন্দ্রে সারাক্ষণ চলছে নিউক্লিয়ার ফিউসন বিক্রিয়া, আর এই বিক্রিয়ায় জ্বালানী হাইড্রোজেন বিগলিত হয়ে হিলিয়াম কেন্দ্র উৎপাদন করে আর সেই সাথে উৎপাদিত হয় শক্তি। আমরা জানি নিউক্লিয়ার বম্ব এই ফিউসন অর্থাৎ বিগলন পদ্ধতিতে শক্ত উৎপাদনের মাধামে ক্রিয়া করে আর এটমিক বম্ব ক্রিয়া করে ফিসন (splitting of the atomic nucleus)পদ্ধতিতে।
বিজ্ঞানী G. Feinberg and R.Shapiro তাদের LIFE BEYOND EARTH গ্রন্থে লিখেছেন য, আমাদের সূর্যের বা অন্যকোন নক্ষত্রে এই প্লাজমাতে জীবন প্রাপ্তির সর্বোচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে। ঐ রকম প্রাণীদের তারা নাম দিয়েছেন প্লজমা সাবক(Plasmabeasts)। আমাদের ধারনা মতে এই প্লাজমা সাবক জীন ছাড়া অন্য কিছু হতে পারেনা। পৃথিবীতে জীবনকে বলাহয় রাসায়নিক জীবন, আর প্লাজমাতে অবস্থিত জীবনকে বলা হয় ভৌত প্রাণী। সূর্যে বা তারায় প্লাজমাতে মুক্ত ইলেকট্রন ঋণাত্মক চার্জ রূপে আর পরমানু কেন্দ্র গুলো ধনাত্মক চার্জ রূপে ভাসমান থেকে গভীর চুম্বক বল রূপে কাজ করে। জিনরাও এভাবেই শক্তি হিসেবে বর্ণিত হয়েছে,তাদের গাঠনিক কৌশল যতটাই বুঝা গেছে তাতে তারা চুম্বক শক্তির মতই তৈরী হয়েছে বলে মন হয়।যারা মুক্ত আয়নের মত ঘুরে বেড়াতে পারে। এই প্লাজমা ভূমিতে বসবাস উপযোগী এই জীনদের গঠণ ভিত্তি আরও অনেক জটীল, নির্দিষ্ট আকৃতিতে জীনদের ঘুরে বেড়ানোর পিছনে রয়েছে চুম্বক শক্তি। সম্ভবত এমনি কোন বল জিনদের মূল চালিকা শক্তি। সূত্র- Dr. Ibrahim B. Syed, President, Islamic Research Foundation International, Inc
উইন্ডোজ ৯ এবং কিটক্যাট স্কিন প্যাক, উইন্ডোজ ৭, ৮ এবং ৮.১ ব্যবহারকারীদের জন্য
আপনাদেরকে উপহার দেবো সুন্দর ২টি স্কিন প্যাক । স্কিন প্যাক ব্যবহারের মাধ্যমে কম্পিউটার এর একঘেয়েমি লুকিং থেকে বের হয়ে আশা যায় । তাই যারা তদের কম্পিউটারকে নতুন লুকিং দিতে চান তাদেরকে এই টিউনটি বেশ সহযোগীতা করবে ।
জানালা ৯ স্কিন প্যাক (Windows 9 Skin Pack):-
উইন্ডোজ ৮.১ রিলিজের সময়টাতে উইন্ডোজ ৯ এর কনসেপ্ট সম্পর্কে বেশ কিছুটা ধারনা পাওয়া গিয়েছিল । উইন্ডোজ ৯ মার্কেটে আসা বেশ সময়ের ব্যাপার হলেও, আপনি চাইলে আজই এই স্কিন প্যাকটি ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার কম্পিউটারকে দিতে পারেন উইন্ডোজ ৯ এর লুকিং ।
"Download For Windows 7"
"Download For Windows 8 & 8.1"
স্কিন প্যাকটির মেইন সাইট লিংক
কিটক্যাট স্কিন প্যাক (KitKat Skin Pack):-
আমার বিগত সব টিউন গুলো ছিল Android বিষয়ক, তাই পিসি বিষয়ক টিউনেও হালকা Android এর ছোঁয়া রাখলাম । আমরা সবাই জানি, গুগোলের ওএস Android এর ভার্শন 4.4 এর নামকরন হয়েছে কিটক্যাট । আর কিটক্যাট এর ইন্তারফেস কে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে এই স্কিন প্যাক । তাই যারা Android প্রেমী আছেন, ভালো লাগলে স্কিন প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন ।
"Download For Windows 7"
"Download For Windows 8 & 8.1"
স্কিন প্যাকটির মেইন সাইট লিংক
অবশেষে বাই বাই
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)